সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ভারতীয় রেলে এবার আসছে “সবুজ ট্রেন”, শীঘ্রই চা’লু হবে হাইড্রোজেন চা’লি’ত ট্রেন

ভারতের সেমি হাই স্পিড ট্রেন বন্দে ভারত। ইতিমধ্যেই দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে এই ট্রেনের পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে। গতিতে বুলেট ট্রেনকেও হার মানাবে এই ট্রেন। বন্দে ভারতের পর আসতে চলেছে গ্রিন ট্রেন। ইতিমধ্যে ভারতের পার্শ্ববর্তী দেশ চীনে হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন পরিষেবার শুরু হয়ে গিয়েছে। সিআরআরসি কর্পোরেশন লিমিটেডের অধীনে হাইড্রোজেন চালিত আরবান ট্রেন চালু হয়ে গিয়েছে।

সেই ট্রেন এশিয়ার প্রথম এবং বিশ্বের দ্বিতীয় হাইড্রোজেন ট্রেনের তকমা পেয়ে গিয়েছে। আবার জার্মানিতেও চালু করা হয়েছিল সবুজ ট্রেন। খুব শীঘ্রই ভারতেও চালু করা হবে এই ট্রেন। এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় রেল মন্ত্রক। চীনে এই ট্রেনের গতিবেগ ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটার। জ্বালানি শেষ হয়ে গেলেও চিন্তা নেই ঝড়ের গতিতে চলবে এই ট্রেন।

অন্যদিকে জার্মানি ট্রেন নির্মাণকারী সংস্থা দাবি করেছে সেই দেশের সবুজ ট্রেন জ্বালানি ছাড়াই ছুটে যেতে পারে ১১৭৫ কিলোমিটার। ভারতীয় রেলও দিন দিন প্রভূত উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ভারতে প্রথম হাইড্রোজেন চালিত ট্রেনের শিলান্যাস করা হবে।

আরো খবর: সানি দেওলের পাকিস্তানে যাওয়া কেন আজীবনের জন্য নি’ষি’দ্ধ?

বন্দে ভারতের মতোই ভারতীয় রেল পরিবেশ বান্ধব এবং উচ্চগতির রেলের কাজ শুরু করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে রেলের ইঞ্জিনিয়াররা জোর কদমে কাজ চালাচ্ছেন যাতে ডিসেম্বরের মধ্যেই রেলের নতুন নকশা তৈরি করা যায়। চীনের হাইড্রোজেন ট্রেন ফাক্সিং হাই স্পিড প্লাটফর্মর উপর চলে। ২০২১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ট্রেন চালু করা হয়েছিল।২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়ে হাইড্রোজেন চালিত ট্রামের সূচনা হয়।

চীনের এই ট্রেনে অত্যাধুনিক সেন্সর প্রযুক্তি রয়েছে সেই সঙ্গে প্রতিটি কামরায় ইন্টারনেট পরিষেবা। এই ট্রেন ব্যবহার করলে প্রতিবছর ১০ টন পর্যন্ত কার্বন নির্গমন কমবে। বিশ্বের প্রথম হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন চালু করা হয় জার্মানিতে। ১৫ টি ডিজেল ট্রেন সরিয়ে দিয়ে নতুন হাইড্রোজেন ট্রেন চালু করা হয়।

জীবাশ্ম জ্বালানির ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী দৃষ্টান্ত হতে চলেছে এই হাইড্রোজেন ট্রেন। হাইড্রোজেন রাখার জন্য ছোট আকারের একটি জ্বালানি কোষ থাকে প্রতিটি ট্রেনে। তবে এই ট্রেন পাকাপাকিভাবে বাজারে আনতে এখনো নতুন কিছু সমীক্ষা এবং পর্যালোচনা করা দরকার বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা। আর ভারতও সেই পথেই হাঁটছে।