সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

দেশের মধ্যে কো’ন রা’জ্যে বে’শি গরিব বসবাস করেন?

স্বাধীনতার সময়ে ভারতবর্ষের ৮০ শতাংশ জনসংখ্যা ছিল দারিদ্র্যসীমার নীচে। আজ স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী জনসংখ্যা নেমে এসেছে ২২ শতাংশে। তবে, সংখ্যা র বিচারে বিশেষ পার্থক্য করা যায় না। লোকসভার পরিসংখ্যান অনুযায়ী স্বাধীনতার সময় ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে ছিল, বর্তমানে সেই সংখ্যা ২৬.৯ কোটি।

লোকসভায় দারিদ্র্যসীমা সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রক বলেছে যে ২০১১-১২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশের জনসংখ্যার ২১.৯% দারিদ্র্যসীমার নীচে রয়েছে। এরপর থেকে আর কোনো হিসাব পাওয়া যায়নি।

সরকারের মতে, দারিদ্র্যসীমা হল, কেউ যদি গ্রামে মাসে ৮১৬ টাকা এবং শহরে ১০০০ টাকা খরচ করে, তবে সে দারিদ্র্যসীমার নীচে আসবে না। এখনও দেশের প্রায় ২২ শতাংশ মানুষ আছেন যারা মাসে এক হাজার টাকাও খরচ করতে পারেন না।

আরো পড়ুন: ব্যা’প’ক তাপপ্রবাহ, ইতিমধ্যে ৫০০ জনের মৃ’ত্যু স্পেনে

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ছত্তিশগড়ে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা অর্থাৎ ৪০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করে। এরপর রয়েছে ঝাড়খণ্ড, মণিপুর, অরুণাচল, বিহার, ওড়িশা, আসাম, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্য যেখানে ৩০শতাংশ বা তার বেশি জনসংখ্যা দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করে।

দেশে ১৯৫৬ সাল থেকেই দারিদ্র্যের হিসাব রাখা হয়। একটি হিসেব বলছে, স্বাধীনতার সময় তৎকালীন জনসংখ্যার ৮০% অর্থাৎ দেশের ২৫০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে ছিল।

বিএস মিনহাস কমিশন তাদের প্রতিবেদন পরিকল্পনা কমিশনে জমা দিয়েছে। অনুমান করা হয়েছিল যে ১৯৫৬-৫৭ সালে, দেশের ২১.৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে ছিল। এরপর ১৯৭৩-৭৪ সালে ৫৫ শতাংশ, ১৯৮৩ সালে ৪৫ শতাংশ, ১৯৯৯-২০০০ সালে, দেশের জনসংখ্যার ২৬ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নীচে ছিল।

এর শেষ হিসেব পাওয়া গেছে ২০১১-১২ সালে। লোকসভায় এ প্রসঙ্গে তেন্ডুলকার কমিটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একটি গ্রামে বসবাসকারী একজন ব্যক্তি যদি প্রতিদিন ২৬ টাকা (মাসে ৮১৬ টাকা) এবং একজন শহুরে ব্যক্তি প্রতিদিন ৩২ টাকা (মাসে ১০০০ টাকা) খরচ করে, তবে তিনি দারিদ্র্যসীমার নীচে থাকবে না।

সরকারের এই প্রতিবেদন অনেকেই মেনে নিতে পারেন নি। এরপর রঙ্গরাজন কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী ঠিক করা হয় যে গ্রামে বসবাসকারী একজন ব্যক্তি যদি প্রতি মাসে ৯৭২ টাকা এবং শহুরে ব্যক্তি ১,৪০৭ টাকা খরচ করে, তবে তাকে দারিদ্র্যসীমার উপরে রাখা উচিত। তবে এই সিদ্ধান্ত সরকার কর্তৃক এখনও অনুমোদিত হয়নি।

আরো পড়ুন: শাহরুখের কা’ছে আ’ছে এই ফোন, জানুন দা’ম

১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ভারত থেকে পাকিস্তান আলাদা হয় এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে যায় বাংলাদেশ। বর্তমানে, তিনটি দেশের জনসংখ্যারই ২০শতাংশেরও বেশি দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করে।

গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রকের একটি তথ্য থেকে জানা যায়, স্বাধীনতার আগে ভারতে দারিদ্র্যসীমার সংজ্ঞা তিনবার নির্ধারণ করা হয়েছিল যথাক্রমে ১৯০১ সালে, ১৯৩৮ সালে এবং ১৯৪৪ সালে।

দারিদ্র্যসীমার ১৯০১ সালের সংজ্ঞা অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি যদি তার খাওয়া-দাওয়ার জন্য প্রতি বছর ১৬ থেকে ৩৫ টাকা খরচ করে, তাহলে সে দারিদ্র্যসীমার নীচে আসবে না।