একটি সুস্থ স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থায়ী হয় দুজনের মধ্যে ভালো বোঝাপড়ার কারণে। কিন্তু সব সময় মানুষ এত বুঝেতো চলতে পারেনা। হয়ে যায় ছোটো খাটো অনেক ভুল। আর সেই ভুল গুলো থেকেই বড়ো বড়ো সমস্যার সৃষ্টি হয়। তখন সেই মানুষটাকে আর বেশিদিন ভালোবাসা যায়না। আর তার ওপর যদি তৃতীয় ব্যক্তি চলে আসে তাহলে সেই তৃতীয় মানুষটির ওপর ভরসা করতে শুরু করে। আর এই ভাবেই পরকীয়ার সম্পর্ক লিপ্ত হয় তাঁরা।
অনেকে তো নিজের সঙ্গীর সাথে থেকেও অন্য কোনো তৃতীয় মানুষের সাথে সম্পর্ক রাখে। তবে একটি গবেষণা মারফত মনে করা হচ্ছে যে, সেপ্টেম্বর মাসে নাকি বেশি পরিমানে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। কিন্তু কেনো হয় জানতে চাইলে, আমেরিকার একটি ডেটিং সংস্থা জানান, সম্প্রতি তারা এই বিষয়নিয়ে একটা সমীক্ষা করে। সেই সমীক্ষায় অংশ নেন প্রায় দু’হাজার নারী-পুরুষ। সেই সমীক্ষাতেই দেখা যায় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর মাসে বেশি দেখা যায় পরকীয়াতে জড়ানোর প্রবণতা। ৩২ শতাংশ নারী ও ৩৪ শতাংশ পুরুষ এই কথা জানিয়েছেন।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জানুয়ারি। কিন্তু কেনো জড়িয়ে পড়ে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, তাঁরা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হয়ে হয়তো বলতে পারবেন না, তবে তত্ত্বগত ভাবে তাঁদের মনে হয়েছে, সেপ্টেম্বরের আগে দীর্ঘ সময় ধরে গরমের ছুটি চলে অমেরিকায়। তখন একসঙ্গে থাকেন বহু যুগল। আর তাতেই চাপ বাড়ে সম্পর্কে। আসে একঘেয়েমি। বেশিক্ষণ একসাথে থাকতে থাকতে নানা মত বিরোধ দেখা দেয়। সেই কারণের ছুটির পর নতুনত্বের খোঁজ করেন অনেকে।
আরো পড়ুন: এ’তো দাম? বিশ্বের সবথেকে ব’ড়ো গোলাপি হীরের মূ’ল্য শুনলে চ’ম’কে উঠবেন
তবে বছর খানেক আগে একই সংস্থার সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, জানুয়ারি মাসে পরকীয়া বাড়ে। কিন্তু একটা সমীক্ষার ওপরেই নির্ভর করেতো বলা যায়না। এরকম অনেক নিদর্শন রয়েছে যারা সুখী জীবনযাপন করছেন বছরের পর বছর। উল্টে ছুটি টাকে তারা খুব ভালো ভাবে কাটিয়েছেন। তাই সবার ক্ষেত্রে এই গণনা একই রকম হবে এমন ভাবার কোনো কারণ নেই।