টলিউডের জনপ্রিয় তথা গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক। তাঁর ফিগারই বলে দেয় তিনি কতটা ফিটনেস সচেতন। তিনি মা হয়েছেন গত বছর। কিন্তু তাঁর শরীর দেখে তা ভাবার উপায় নেই। মাতৃত্বকালীন ওজন তিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ঝরিয়ে ফেলেছিলেন। ভবানীপুরের মল্লিক বাড়ির দূর্গাপুজোর কথা কমবেশি সবাই জানে। কিন্তু এই বছর মল্লিক বাড়িতে হয়েছে ডবল সেলিব্রেশন। পুজোর ঠিক আগেই ছিল কোয়েলের খুড়তুতো ভাই দেবজয়-এর বিয়ে। তারপরেই ছিল মল্লিকবাড়ির সেই ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুজো। কোয়েল সপরিবারে অংশ নিয়েছিলেন পরিবারের দূর্গাপুজোয়। পরিবারের সবার সাথে পুজোর এই কটা দিন জমিয়ে হইচই ও আনন্দ করেছেন। তবে দুর্গাপুজো শেষ হতেই আর কোনো বিরতি নেন নি। এই কদিনের সমস্ত অনিয়মকে পিছনে ঠেলে আবারও নিজের নিয়মানুবর্তিতাকে বেছে নিয়েছেন তিনি।
মা হওয়ার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ওজন ঝরিয়েছেন অভিনেত্রী তথা মা কোয়েল মল্লিক। নিজের ফিটনেস ফিরিয়ে আনার সেইসব টিপস সম্পর্কিত ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেন তিনি। তার সঙ্গে নিজের ফিটনেস সিক্রেট এক্সারসাইজও শেয়ার করেছেন । কোয়েলকে “পুজো কেমন কাটল!” জিজ্ঞাসা করতেই তিনি বলেছেন, পুজোর ভুরিভোজই তাঁর সবচেয়ে প্রিয়। তেল চপচপে লুচি বা ফাউ পাওয়া ফুচকা ছাড়া পুজো ঠিক জমে না। তবে পুজোর পরেই ফিটনেস রুটিনে ফিরে গিয়েছেন কোয়েল। সেই সাথে ব্যালান্সড ডায়েটও অনুসরণ করছেন।
কোয়েলের কাছে অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন যে মাতৃত্বকালীন ফ্যাট কিভাবে শরীর থেকে এত সহজে ঝরালেন তিনি। উত্তরে কোয়েল জানিয়েছেন, প্রসেসটা কঠিন এবং কষ্টসাধ্য ছিল ঠিকই, কিন্তু অসাধ্য ছিল না। মা হওয়ার পর আরও অনেক দায়িত্ব বেড়েছে। তবুও সব দিক বজায় রেখে নিজের জন্য সময় বার করতে হয়েছে। আলমারি ভর্তি জিনস, টপ ও অন্যান্য ড্রেস যখন আর ফিট করছিল না, তখন নতুন কিছু না কিনে শেপে ফিরে আসাই ছিল কোয়েলের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। তাঁর কথায়, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কোয়েল প্রতি দিন এক ঘন্টা করে হাঁটতেন ও যোগাসন করতেন। তাতেও শেপে ফেরার ব্যাপারটা অতটাও সহজ ছিল না। কারণ বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে চিকিৎসকরা ইমিউনিটি বাড়ানোর দিকেও জোর দিচ্ছেন।
কোয়েলের মন ভালো রাখার জায়গা হল জিম। কারণ এক্সারসাইজ করলে হ্যাপি হরমোন রিলিজ হয়। তবে ওভারডু বা আন্ডারডু করা উচিত নয়। এক্সারসাইজটা উপভোগ করতে হবে। কোয়েল খেতে ভালোবাসেন। সব কিছুই খান, কিন্তু পরিমিত পরিমাণে। সেদ্ধ খাবারের পাশাপাশি পরিমাণ মতো তেল-মশলা খান। প্রোটিন ও সব্জি খান। পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। পরিমাণ মতো জল খাওয়া দরকার। কোয়েলের মতে, সবথেকে দরকার আনন্দে থাকা, সুস্থ থাকা।