দেশের একাধিক রাজ্যে জনসংখ্যার ভিত্তিতে হিন্দুদের সংখ্যা অনেকটাই কম। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট এরকমই একটি পর্যবেক্ষণ করেছে। এই পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এবার সেই রাজ্যগুলোতে হিন্দুদের সংখ্যালঘু তকমা দেওয়া যায় কিনা সেই বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে এবার হিন্দু সম্প্রদায়ের সংখ্যালঘু তকমা পাওয়ার পথ কিছুটা মসৃণ হলো। শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টে বলেছে দেশের প্রত্যেকটি মানুষ কোন না কোন রাজ্যে সংখ্যালঘু।
ভাষার নিরিখে মানুষকে সংখ্যালঘু বিচার করতে হয় তাহলে তা রাজ্য সরকারের উপর নির্ভর করবে। সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা চলাকালীন বলা হয়েছিল লাদাখে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের হার মাত্র এক শতাংশ।
অন্যদিকে মিজোরামে মাত্র ২.৭৫ শতাংশ কাশ্মীরে ৪ শতাংশ লাক্ষা দ্বীপে ২.৭৭ শতাংশ হিন্দুরা বসবাস করছেন। দেশের অন্যান্য একাধিক রাজ্যের তথা মেঘালয় অরুণাচল প্রদেশ পাঞ্জাবের মতো রাজ্যগুলোতেও হিন্দুদের সংখ্যা অনেক কম।
এই সকল রাজ্যে হিন্দুদের সংখ্যালঘু সুবিধা না পাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হলে আদালত গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে প্রচলিত ধারণা অনুসারে হিন্দুরা ভারতবর্ষে সংখ্যাগুরু।
তাই তারা সংখ্যালঘু সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন না। এ প্রসঙ্গে আদালতের বিচারপতি মামলাকারীদের আরো একাধিক তথ্য দেওয়ার ব্যাপারে মতামত প্রকাশ করেন। শিশু আদালত বলে ধর্ম এবং ভাষার উপর ভিত্তি করে কাকে সংখ্যালঘু তকমা দেওয়া হবে তা রাজ্য সরকারের উপর নির্ভর করছে।