নতুন বছর আসতে আর ২দিনও বাকি নেই। এখন শুধুমাত্র ৩১ ডিসেম্বর ঠিক রাত বারোটা বাজার অপেক্ষা। আর সেই মুহুর্তেই সারা পৃথিবীর মানুষ মেতে উঠবেন নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আনন্দে। নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর জন্য শুধু যে দেশীয় রীতিই পালিত হয় তা কিন্তু নয়, বরং পাশাপাশি পারিবারিক কিছু রীতিও পালন হয়ে থাকে। ঠিক যেমন বাঙালিরা বাংলার নতুন বছর আগমনের দিন অর্থাৎ পয়লা বৈশাখে নতুন জামা কাপড় পরে, পুজো দেয় বা ব্যবসায়িক পরিবারে হালখাতার অনুষ্ঠান হয়।
৩১ ডিসেম্বর ঠিক রাত বারোটা বাজলেই টেলিভিশন অন করলেই দেখা যায় সিডনি অপেরা হাউজ, প্যারিসের আইফেল টাওয়ার, ব্রাজিলের ক্রাইস্ট দ্য রিডিমারের মাথার উপর নতুন বছর আগমনের জন্য সুদৃশ্য আতশবাজির ঝলকানি। তবে জানেন কি এমন একটি দেশ রয়েছে যেখান হয় লাল রঙের অন্তর্বাস পড়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোটাই হলো মূল রীতি। কি! অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই!
এমন রীতি প্রচলিত রয়েছে ইতালিতে। ওখানকার মানুষ বিশ্বাস করেন লাল রংয়ের নতুন অন্তর্বাস পড়ে ৩১ ডিসেম্বর ঠিক রাত্রি ১২ টার সময় নতুন বছরকে স্বাগত জানালে তাদের জীবন সৌভাগ্যে ভরে উঠবে। আবার ইতালির এক বড় অংশের প্রেমিকরা মনে করেন এই দিন তাদের প্রেমিকারা লাল রঙের অন্তর্বাস পরে নতুন বছরকে স্বাগত জানালে তাদের মধ্যে ভালোবাসা আরও বাড়বে। আর সেইজন্যই তারা এই সময় নিজের প্রেমিকাদের লাল রঙের অন্তর্বাস উপহার দেয়। তবে অনেক ইতালীয় মানুষ হলুদ রঙের অন্তর্বাস পড়েও নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। এক্ষেত্রে মনে করা হয় হলুদ রঙের অন্তর্বাস পড়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানালে অর্থ সম্পদ এবং সৌভাগ্য বৃদ্ধি পাবে।
ইতালির পাশাপাশি এই নিয়ম চালু আছে বেলজিয়াম তুরস্কে। আবার ব্রাজিলে সাদা রঙা অন্তর্বাস পরে মাঝ রাত্তিরে নদী বা সমুদ্রের জলে ডুব দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর রীতির প্রচলন রয়েছে। শুধু তাই নয়, সেই সময় তারা হাতে সাদা রঙের সাতটি ফুল নিয়ে জলেতে সাতবার ছুড়ে ফেলে, আর এতেই নাকি তাদের সৌভাগ্য বজায় থাকে বলে বিশ্বাস করেন তারা।