সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বিগত ৬০ বছরে বায়ুসেনার মিগ-২১ বিমান ৪০০ টি দু’র্ঘ’ট’না’র শি’কা’র, প্রাণ হারিয়েছেন ২০০ জন পাইলট

মিগ-২১ হলো একটি সুপারসনিক ফাইটার। এটি আকাশ থেকে আকাশে এবং আকাশ থেকে মাটিতে উভ়ক্ষেত্রেই কার্যকরী। ১৯৫৫ সালে তৈরি হয় মিগ-২১ যুদ্ধবিমান। সোভিয়েত ইউনিয়ন জামানার বিমান নির্মাতা সংস্থা মিকোয়ান- গুরেভিচ অ্যারোস্পেস কর্পোরেশনের নক্সায়।

ভারতীয় সেনার সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ব্যাবহৃত হচ্ছে এই মিগ- ২১ যুদ্ধবিমান।১৯৬২ সালে চীনের সাথে যুদ্ধের পরেই আধুনিক যুদ্ধবিমানের খোঁজ শুরু হয়। আর তখনই নজর পরে সোভিয়েতের মিগ – ২১ এর দিকে। ১৯৬৩ সালে হতে আসে এই বিমান ভারতের কয়েক দফা পরীক্ষার পর। জানা যায় প্রায় ছয় দশক ধরে রয়েছে এই বিমানটি ভারত বায়ুসেনা বিভাগে।

মোট ৮৭৪ টি মিগ -২১ কিনেছে ভারত সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে। তার মধ্যে মস্কোর প্রযুক্তিগত সাহায্যে রাস্ট্রায়ত্ত বিমান নির্মাতা সংস্থা ‘ হিন্দুস্থান অ্যারিনটিক্যাল লিমিটেড ‘ ৬৫৭ টি বানিয়েছে। আমদানি করা মিগ – ২১ এফ্ এল মডেল অবসর নিলেও তার ৪টি স্কোয়াড্রন এখনও কর্মরত।

আরো পড়ুন: সোমবারের হা’জি’রা এড়ালেন অনুব্রত, তিনি যাবেন SSKM-এ, বললেন কেষ্টর আইনজীবী

এই যুদ্ধবিমানে এত মানুষের প্রাণ গেছে যে এই বিমানকে ‘ দুর্ঘটনাপ্রবণ ‘ বলে ভারতীয় সেনা মহলে পরিচিতি আছে। এমনকি এই যুদ্ধবিমানকে ‘ উড়ন্ত কফিন ‘ নামেরও জানা যায়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই যুদ্ধবিমানে গত আড়াই দশকে ২০০ বারেরও বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে, এবং এ পর্যন্ত প্রায় ২০০ জন পাইলটের প্রাণ গেছে মিগ- ২১ এ।

৬০জনেরও বেশি শুধু সাধারণ নাগরিকই মারা গিয়েছে এই রুশ যুদ্ধবিমানে। ২০১৯ সালে দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এর উদ্দেশে সেই সময়ের বায়ু সেনা প্রধান বিএস্ ধানোয়া বলেছিলেন – ‘ এতো পুরনো গাড়ি কেউ চালায় না। ‘
এছাড়াও এ.কে.গুপ্ত ও স্কোয়াড্রন লিডার অভিনব চৌধুরীর মতো পাইলটের মৃত্যুর পর মিগ-২১ বাতিলের দাবি ওঠে বায়ু সেনা মহলে।

একের পর এক দুর্ঘটনার জন্য মিগ -২১ অবসরে গেলেও তার বাইসন সিরিজ গুলো এখনও ৪টি স্কোয়াড্রন বর্তমান বায়ুসেনাতে।
বালাকোট কাণ্ডের পর পাকিস্থানের যুদ্ধ বিমানের সাথে ডগফাইট করেন শ্রীনগর উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। এর পর গত ২৮এ জুলাই রাজস্থানের দুর্ঘটনায় উইং কমান্ডার এম রানা ও লেফটেন্যান্ট আদিত্য বল – এর মৃত্যুতে অভিনন্দনের ৫১ স্কোয়াড্রন ৩০ সেপ্টেম্বর অবসরে যাচ্ছেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।

জানা যায় ২০২৫ সালের মধ্যে ধীরে ধীরে পুরনো যুদ্ধবিমানগুলো একটা একটা করে অবসরে পাঠানো হবে। সে জায়গায় দেশীয় প্রযুক্তিতে বানানো তেজস স্থান পেতে চলেছে। অবশ্য ভারতীয় সেনাতে এখনও সাফল্যের সাথে কাজ করে যাচ্ছে মিগ – ২৯ ইউপিজি।সাময়িক ভাবে মিগ-২১ এর বদলে রাশিয়া থেকে সুখাই- ৩০ যুদ্ধবিমান কেনার কথা ভাবা হচ্ছে। এই ব্যাপারে ছাড়পত্রও পাওয়া গিয়েছে প্রাথমিক ভাবে আমাদের দেশে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছ থেকে।