সম্প্রতি ফেনী নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন যে মৎস্যজীবীরা তাদের জালে ধরা পড়েছে বড় বড় আকারের ইলিশ। সামনেই আসছে পূর্ণিমা। পূর্ণিমাতে আরো বড় আকারের ইলিশ ধরা পড়বে বলে মনে করছেন ওই এলাকার মৎস্যজীবীরা। এখন প্রায় প্রতিদিনই বড় আকারের ইলিশ ধরা পড়ছে মৎস্যজীবীদের জালে।
তাই স্বভাবতই মৎস্যজীবীদের মুখের হাসি চওড়া হচ্ছে। কিছুদিন আগেই ফেনী নদীতে দু কেজি এবং তিন কেজি ওজনের ইলিশ ধরা পড়েছিল। ২ এবং ৩ কেজি ওজনের ইলিশ ছিল ২৫ টি। এর মধ্যে পাঁচটি ইলিশের ওজন ছিল তিন কেজি।
বাকিদের ওজন ছিল দুই থেকে আড়াই কেজি। এছাড়াও মৎস্যজীবীদের জালে ছোট-বড় মিলিয়ে ২০০ কেজি ইলিশ ধরা পড়েছে। সব মিলিয়ে সাড়ে ছয় মণ ইলিশ ধরতে পেরেছেন তারা।
আরো পড়ুন: নেতাজীর আজাদ হিন্দ বাহিনীর স্মৃতিস্তম্ভকে জাতীয় সৌধ ঘোষণা করলো সিঙ্গাপুর প্রশাসন
এই ২৫টি বড় আকারের ইলিশ মাছ বিক্রি হয়েছে এক লাখ পাঁচ হাজার দুশো টাকাতে। বাকি সমস্ত মাছ বিক্রি করা হয়েছে ২ লক্ষ ৮১ হাজার ৪০০ টাকাতে। স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা এই সমস্ত মাছগুলিকে কিনে নিয়েছিলেন।
ফেনী নদীর শেষ প্রান্ত বঙ্গোপসাগরের মোহনাতে জাল ফেলেছিলেন মৎস্যজীবীরা। সেখান থেকেই পাওয়া গিয়েছে বড় বড় আকারের ইলিশ। মৎস্যজীবীরা জানাচ্ছেন গত কয়েকদিনে অনেক বড় বড় আকারের ইলিশ ধরা পড়েছে।
সামনেই পূর্ণিমা উপলক্ষে নদী এবং সাগরে আরো অনেক ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশাবাদী তারা। ইলিশ মাছের প্রজনন বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আসলে মাছ ধরার ক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা মেনে চলার কারণে মাছের বংশবিস্তার হয়েছে।