সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ভু’য়ো নথি পে’শ করে রূপশ্রীর টা’কা আ’ত্ম’সা’ৎ, পুলিশের দ্বা’র’স্থ বিডিও

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের ঘরের মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার জন্য যাতে কোনরকম সমস্যা না হয়, সে জন্য একটি প্রকল্প এনেছিলেন “রূপশ্রী প্রকল্প” । এই প্রকল্পের মাধ্যমে যেকোনো অসহায় মেয়ের বিয়ের জন্য কিছু টাকা পাওয়া যায় সরকারের তরফ থেকে, তবে সেই ক্ষেত্রে কিছু নথিপত্র দেখাতে হয় সরকারকে যার পরেই দেওয়া হয় এই টাকা। এই “রূপশ্রী প্রকল্প” অপব্যবহার করার অভিযোগ উঠে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হল বীরভূমের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকে। যারাই ভুয়ো সার্টিফিকেট দেখিয়ে রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা নিয়েছে, তাদের বেশিরভাগই চার বছর আগে বিয়ে হয়ে গেছে অথবা কেউ ছেলেমেয়ে নিয়ে এই করছে চুটিয়ে সংসার।

এরকম একটি খবর জানাজানি হলে ব্লক অফিসের আধিকারিকদের চক্ষু ছানাবড়া। ৮ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। সাধারণভাবে নীতি অনুযায়ী সার্টিফিকেটের মাধ্যমে সরকারি প্রকল্পের এই টাকা পাওয়া যায়। তৃণমূলের দাবি, “নানারকম খোঁজখবর নিয়ে এই টাকা দেয় আধিকারিকরা, এদের নিশ্চয়ই কোনো যোগসাজশ আছে”। এরকম একটি ঘটনার পরেই ওই আটজন এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে, যদিও তাদের পরিবারের তরফ থেকেও কোনো কিছুই বলতে চাইছে না।

নলহাটির ২ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সেলিমা খাতুন জানিয়েছেন যে, ” ব্লক অফিসের আধিকারিকরা আগে তদন্ত করে এবং তারপরেই টাকা দেওয়া হয়, যদি কোনরকম গাফলতি থেকে থাকে তাহলে দোষ তাদের। প্রকল্পর টাকা দেওয়ার জন্য কখনোই সভাপতির সই করে না তবে, পঞ্চায়েতের প্রধান এই রকম একটি ব্যাপারে যদি সই করে তাহলে অবশ্যই এই দোষ কখনই তিনি এড়াতে পারবেন না”।

খবর সূত্রে জানা গেছে যে, ফেব্রুয়ারি মাসে ভোটের আগেই নলহাটি ২ ব্লকের নোয়াপাড়া এলাকায় আটজন রূপশ্রী প্রকল্পের জন্য সরকারি অনুদানের ২৫ হাজার টাকা দাবি করেছিল এবং তারা সকলেই গ বিয়ের কার্ড সমস্ত কিছু দেখেছিল যার ভিত্তিতে তাদের টাকা দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু গত সপ্তাহে এই অভিযোগ আসে জেলা শাসকের কাছে, ভুয়ো কার্ড দেখিয়ে ওই আটজন রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা নিয়েছে। এর পরেই এই সমস্ত বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দেন জেলাশাসক।

তদন্ত করেই জানা যায় যে ওই আটজনই ভুয়ো তথ্য দেখিয়ে এইরকম টাকা নিয়েছেন। এই বিষয়টিকে নিয়ে শুনানির জন্য গত সপ্তাহে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল ব্লকে, কিন্তু ওই আটজনের মধ্যে কেউই হাজির হয়নি সেখানে। ওই অভিযুক্ত লুচিনা খাতুন, গৌরী মাল, সমাপ্তি দাস, মোমেনা খাতুন, রুবিনা খাতুন, মুর্শিদা খাতুন, বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানাতে। গত সপ্তাহের শুনানি করার জন্য তাদের যখন ডাকা হয়েছিল তখন তারা উপস্থিত না হওয়ার কারণেই থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্লক অফিসের আধিকারিকরা।