সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

৫ দিন কিছুই খা’য়নি, অবশেষে উ’দ্ধা’র হলো ২ মাসের দুধের শিশু!

তুরস্ক মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। ৩২ হাজার পার করেছে তুরস্ক সিরিয়ায় ভূমিকম্পের মৃতের সংখ্যা। এরমধ্যে বেশকিছু হৃদয়বিদারক ঘটনার সামনে আসছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে কত লাখ লাখ মানুষ চাপা পড়ে আছেন তার হিসাব নেই। ১০০ ঘন্টা পার হয়ে গিয়েছে এখনো পর্যন্ত চলছে উদ্ধার কাজ। গোদের মধ্যে বিষ ফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে তুষার ঝড়।

এবার আলোর পথযাত্রী হয়ে এগিয়ে এলো এক শিশু। অন্ধকারের মধ্যে বিস্ফারিত আলো। ভূমিকম্পের পরে ১২৮ ঘন্টা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছিল ওই বিস্ময় শিশু। আর সবচেয়ে অবাক করা ঘটনা হল উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েও শিশুটির মুখে ছিল হাসি।

তুরস্কের হাতায় একটি জায়গায় ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয় দীর্ঘ ১২৮ ঘন্টা সেখানেই পড়েছিল ওই শিশুটি। তার বাবা মা সকলের ভূমিকম্পে মারা গিয়েছে। হঠাৎ করে ওই শিশুটিকে দেখতে পান উদ্ধারকারী দল ছুটে যান তারা। শুরু হয়ে যায় উদ্ধার কাজ।

আরো খবর: বা’ড়’তি সুবিধা পেতে রাজনীতিতে যোগদান করেন রাজেশ ও অমিতাভ! কেন এমন বলেছিলেন আমজাদ খান?

দুই ঘন্টার প্রচেষ্টায় ভারী সিমেন্টের চাই সরিয়ে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। বয়স মাত্র দুই মাস। যখন ওই শিশুটিকে বার করে আনা হয় রাস্তার দুই ধারে প্রচুর মানুষ তাকে দেখতে ভিড় জমিয়েছিল। উদ্ধারকারী দল হাততালি দিয়ে ওঠে। তুরস্ক প্রশাসন জানিয়েছে সোমবার ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর থেকেই উদ্ধার কাজে কোন বিরাম নেই।

ভারত আমেরিকা চীন থেকে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে তুরস্কে। এর মধ্যেই ঘটে যাচ্ছে কিছু মিরাকেল ঘটনা। যেমন এই শিশুটি ভূমিকম্পের পাঁচ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও অক্ষত অবস্থায় বেচে রয়েছে। শুধু তাই নয় সে কাঁদছে না হাসছে।

ছোট্ট শিশুটি জানেনা তার বাবা মা কোথায় চলে গিয়েছে? ভূমিকম্পের সংজ্ঞা কি তার জানা নেই। অথচ কেমন অবলীলায় ওই দুই মাসের শিশুটি মুখে হাসি নিয়ে শুয়ে রয়েছে। উদ্ধারকারী দলের দাবি এই শিশুটি আসলে কোন মানুষ নয়, সে দেবদূত সে জানান দিচ্ছে আর বেশিদিন নেই খুব তাড়াতাড়ি অন্ধকারের পথ বেয়ে আলো আসবে।