সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কা’জে’র স’ন্ধা’নে স্ত্রীকে একটি গ্রা’ম বানিয়েছিলেন, সেখানে এখন বাস এ’ক’ই পরিবারের ৮০০ স’দ’স্যে’র

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল আনার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের একাধিক রাজ্য এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করে দিয়েছে। এদিকে ঝারখন্ডের কোডরমা জেলার একটি গ্রামের একটি পরিবারকে কেন্দ্র করে বিতর্ক উঠেছে চরমে। ওই একটি পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৮০০। ১৯০৫ সালে কাজের সন্ধানে নিজের স্ত্রী আর বাবা বাবর আলির সঙ্গে কোডরমা এসেছিলেন উত্তিম মিঞা নামের এক ব্যক্তি। দীর্ঘ প্রায় ১০০ বছরে তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা বাড়তে বাড়তে গোটা গ্রামে গড়ে তুলেছে বসতি।

উত্তিম মিঞা নিজের পরিবারের সঙ্গে জঙ্গল পরিস্কার করে চাষের উপযোগী জমি বানিয়ে ওই গ্রামে প্রথম বসতি গড়ে তোলেন। ধীরে ধীরে তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ১১৬ বছর পর ৮০০ তে পৌঁছে গিয়েছে। শুধু ওই গ্রামেই বাস করছেন ৮০০ জন সদস্য। জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াতে গ্রাম ছেড়ে বেশ কয়েকজন নাকি শহরেও পাড়ি দিয়েছেন। অতএব সংখ্যাটা যে বহু আগেই ৮০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে, তা আর বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না।

উত্তিম মিঞার ৫টি ছেলে ছিল, মহম্মদ মিঞা, ইব্রাহিম মিঞা, হানিফ আনসারি, করীম বখশ, আর সাদিক মিঞা। তাদের মোট ২৬টি ছেলে আর ১৩টি মেয়ে ছিল। প্রথম প্রথম নিজের পরিবারের ছেলেমেয়েদের মধ্যেই বিয়ে হতো। পরে অবশ্য এই পরিবারের সঙ্গে ভিন পরিবারের বিয়ের প্রচলন শুরু হয়। এই পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস চাষাবাদ।

উত্তিম মিঞার নাতি ৭০ বছরের মইনুদ্দিন জানিয়েছেন যে পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য আজ গ্রামের বাইরে শহরে গিয়ে বসবাস করছেন। গ্রামে দুটি মসজিদ, মাদ্রাসা আর স্কুল বানানো হয়েছে। পাশাপাশি ওই গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য একাধিক সুযোগ-সুবিধা এবং প্রকল্পের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।