সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আজও এখানে গে’লে শ্রীকৃষ্ণকে দেখতে পাওয়া যায়! জানুন কা’হি’নী

পৃথিবীতে এমন অনেক জিনিস থাকে যার সন্ধান পাওয়া রীতিমতো দুষ্কর। বিশেষ করে বিভিন্ন মন্দিরের মধ্যে এমন কিছু রহস্য থাকে যা মানুষের সচেতন মন কখনো খুঁজে পায়না। এমন কিছু রহস্য আমাদের পৃথিবীতে আছে যা বিজ্ঞানের ভাষায় অসম্ভব। তারাপীঠ থেকে শুরু করে তারকেশ্বর, দক্ষিনেশ্বর থেকে শুরু করে জোহরা তলা, সর্বক্ষেত্রে কিছু না কিছু রহস্য লুকিয়ে রয়েছে আমাদের জ্ঞানের বাইরে।

তেমনই একটি রহস্যময় স্থান হল বৃন্দাবন। কৃষ্ণের লীলা ভূমি বলা হয় এই জায়গাকে। একসময় মন্দিরে বহু ধার্মিক মানুষ পুণ্য অর্জনের জন্য আসতে নেই বৃন্দাবন স্থানে। আসুন আজ এই বিশেষ স্থান এর কিছু অজানা কথা আলোচনা করা যাক।

এই মন্দিরকে কৃষ্ণ রাধার প্রেমের ক্ষেত্রে বলা হয়। জেনে নিন কি কি রহস্য লুকিয়ে রয়েছে এই মন্দিরের ভেতরে। অনেকেই দাবি করেন যে এই মন একে শ্রীকৃষ্ণকে রাসলীলা করতে দেখেছেন। এখানে শুধুমাত্র কৃষ্ণ নয়, অনেকেই অনুভব করেছেন রাধা এবং তার সখীদের বিচরণ।

মন্দিরের মধ্যে যে জঙ্গল গুলি রয়েছে, সেখানে লুকিয়ে রয়েছে কৃষ্ণের গোপিনী। রাতের বেলায় কৃষ্ণের গোপীনীরা নিজের রুপে ফিরে আসেন এবং রাসলীলাতে মত্ত হন। অনেকেই মন্দিরে নুপুরের আওয়াজ শুনতে পেতেন রাতের বেলায়। ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে, মানুষের ভক্তি গানে আজো এই মন্দিরে ছুটে আসেন এবং কৃষ্ণ।

এই মন্দিরের ভেতরে এমন একটি ঘর রয়েছে যেখানে রুপোর গ্লাস রেখে যাওয়া হয়। অনেক সময় দেখতে পাওয়া যায় এই গ্লাসের স্থান পরিবর্তন হয়েছে। রঙ মহল নামে এই ঘরের মধ্যে বহু অলৌকিক কার্যকলাপ দেখতে পাওয়া গেছে বহুবার। সন্ধ্যা আরতির পরে মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। দেবতাদের উদ্দেশ্যে পুরোহিতরা খাবার সাজিয়ে চলে যান। পরদিন সকাল পর্যন্ত মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না কাউকে।

মনে করা হয় যে, সন্ধ্যায় যে মানুষ মন্দিরে গেছেন কোন বাধা স্বীকার না করে, সেই মানুষের কোন না কোন রকম ভাবে ক্ষতি হয়েছে। সেই মানুষটি কোন না কোনভাবে অন্ধ অথবা বধির হয়েছেন অথবা শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি।

মন্দিরের একপাশে একটুকুও রয়েছে, যেখানে নাকি রাসলীলা করার সময় রাধা তৃষ্ণা মিটিয়ে ছিলেন। কৃষ্ণ বাঁশি বাজে এই কুয়ো টি নির্মাণ করেছিলেন শুধুমাত্র রাধার জন্য। এমন অনেক ঐতিহাসিক কাহিনী লুকিয়ে রয়েছে এই মন্দিরের ভেতরে যার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি।