বাচ্চাদের বিশেষ রোগের মধ্যে একটি হলো কৃমিজনিত রোগ, তবে এ ধরনের রোগ শিশুর স্বাস্থ্যের অনেক অবনতি ঘটাতে সাহায্য করে। অনেক সময় দেখা যায় পেটে নানান রকমের সমস্যা, তবে শিশুদের ক্ষেত্রে এ ধরনের রোগের প্রথমদিকেই চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া হয়ে থাকে।
চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আগে অবশ্যই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কিছু পরিবর্তন আনা দরকার এবং ওষুধের বদলে কিছু ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করা দরকার।
বিশেষ করে তখনই কৃমিজনিত রোগ দেখা যায় যখন জীবনযাত্রা একদমই খারাপ প্রকৃতির হয়ে থাকে, এমনকি মাটিতে যদি খালি পায়ে হাঁটা অথবা নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবার খাওয়া, নোংরা জল খাওয়া অথবা নোংরা জল দিয়ে হাত ধোঁয়া সমস্ত কিছুর জন্যই এই কৃমিজনিত রোগ হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন: ফের বি’স্ফো’র’ক ইলন মাস্ক, র’হ’স্য’ম’য় মৃ’ত্যু নিয়ে টুইট করলেন সংস্থার মালিক
কৃমি জনিত রোগ হওয়ার কারণে মুখে অরুচি, বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথা এই উপসর্গগুলো দেখা দেয়। চিকিৎসকদের মতে ছয় মাসের শিশুদের এই কৃমিজনিত রোগের ওষুধ দেওয়া যেতে পারে তবে অত্যন্ত কৃমি হয়ে গেলে সেই ক্ষেত্রে শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব পড়তে পারে, অনেক সময় পেটে হতে পারেন নানান রকমের ক্ষত।
এবার আসুন জেনে নিই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া আর কি কি টোটকা ব্যবহার করে শিশুদের কৃমিজনিত রোগ থেকে দূরে রাখতে পারি।
১.কৃমি জনিত রোগের জন্য নিমপাতার ব্যবহার করা যেতে পারে। নিমে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুন যেগুলি কৃমি কমাতে সাহায্য করে। নিমপাতার সঙ্গে মধু মিশিয়ে যদি প্রত্যেকদিন খালি পেটে বাচ্চাদের খাওয়ানো যেতে পারে তবে সে ক্ষেত্রে কৃমি ঘটিত রোগ থেকে অনেকটাই দূরে থাকতে পারবে বাচ্চারা।
২.এরপরেই তুলসী পাতা। যেটি ব্যবহার করে কৃমিজনিত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তুলসী পাতার রস দিনে দুবার যদি পান করা হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
৩. ডালিম পেটের কৃমি রোগ সারাতে অনেক সাহায্য করে। ডালিমের খোসা শুকিয়ে যদি সেটিকে গুঁড়ো করে প্রত্যেকদিন এক চামচ করে খাওয়া যায় তবে সে ক্ষেত্রে এই রোগ অনেক কমে যেতে পারে।
আরো পড়ুন: এই প্রথম মেয়েকে ক্যামেরার সা’ম’নে নি’য়ে এলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, হাসপাতাল থেকে ফিরলেন বাড়ি
৪. কালমেঘ পাতা অত্যন্ত উপকারী ওষুধ এই রোগের ক্ষেত্রে। কালমেঘ পাতা শুকিয়ে ছোট ছোট বড়ি বানিয়ে নিয়ে সেগুলি বাচ্চাদের খাওয়ালে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
৫.রসুনের চাটনি বানিয়ে রেখে সেটি প্রত্যেকদিন তাতে শিলা লবণ মিশিয়ে দুবার বাচ্চাদের খাওয়ানো যায় তবে সে ক্ষেত্রে শিশুদের পেটের কৃমি কমে যায়।
৬. সেলারি অত্যন্ত উপকারী একটি ওষুধ। বাচ্চাদের পেটে যদি কৃমি হয়ে থাকে, তবে সে ক্ষেত্রে আধা চা-চামচ সেলারি পাউডারের সঙ্গে আধা চা চামচ গুড় মিশিয়ে সেটি একটি ট্যাবলেট তৈরি করে নিতে হবে এবং প্রত্যেকদিন তিনবার করে এটি খাওয়াতে হবে।