সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বিশ্ব’যু’দ্ধে যদি পরমাণু বো’মা ব্যবহার ক’রা হয় তবে এই কোথায় আ’শ্র’য় নিলে প্রা’ণ বাঁ’চ’বে?

পারমাণবিক বোমার সংখ্যা বর্তমান এই পৃথিবীতে ১৩ হাজারের বেশি। বিশ্বের মোট ৮টি দেশের কাছে এগুলো রয়েছে। বর্তমানে ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধরত রাশিয়ার কাছে একাই ৬৮০০ পারমাণবিক বোমা আছে, আমেরিকার কাছেও এই বিধ্বংসী অস্ত্রের সংখ্যা হাজারে।

তবে রাশিয়া যদি এই অস্ত্রটি কোথাও ব্যবহার করত, পৃথিবী বিপদে পড়ত, তবে এই জায়গা এখনও নিরাপদ থাকবে। দ্য সান-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পারমাণবিক যুদ্ধের সময় এটি অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে প্রভাব ফেলবে না।

এ কারণে ১৯৬১ সালের জুন মাসে চুক্তি এর আওতায় এখানে যেকোনো ধরনের সামরিক তৎপরতা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই চুক্তিতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। এমন পরিস্থিতিতে এই মহাদেশে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না।

আরো পড়ুন: ৩০০০ টা’কা করে দে’বে কেন্দ্রীয় সরকার, এই প্র’ক’ল্পে করুন রেজিস্ট্রেশন

আমেরিকা পরমাণু যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লেও এই মহাদেশে বর্তমান কলোরাডোর পাহাড়ি এলাকা (এল পাসো কাউন্টি, কলোরাডো) যুদ্ধের প্রভাব পড়বে না। কারণ, এই স্থানে পাহাড়ের (শেয়ান পর্বত) ভেতরে একটি নিউক্লিয়ার প্রুফ গুহা রয়েছে। এই গুহার প্রবেশপথে 25 টন ওজনের একটি বিশাল দরজা রয়েছে যা একটি পারমাণবিক বোমাও গলতে পারে না।

এটি উত্তর আমেরিকার মহাকাশ প্রতিরক্ষা কমান্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর কমান্ডের সদর দফতর এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের আক্রমণ মোকাবেলা করার জন্য ১৯৬৬ সালে আমেরিকা দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। তৃতীয় স্থানে, যা পারমাণবিক অস্ত্র থেকে নিরাপদ, উত্তর মেরুতে অবস্থিত একটি ছোট দেশ আইসল্যান্ড। সারা বছর বরফে ঢাকা থাকে আইসল্যান্ড একটি নিরপেক্ষ দেশ।

বিশ্বের কোনো দেশ তাকে শত্রু হিসেবে দেখে না। তাই এখানে পারমাণবিক হামলার সম্ভাবনা খুবই কম। পরমাণু নিরাপদ স্থানের তালিকায় পরবর্তী নামটি প্রশান্ত মহাসাগরের একটি ছোট দ্বীপ গুয়াম। গুয়ামের জনসংখ্যা মাত্র ১ লাখ ৬৮ হাজার এবং এখানে সেনাবাহিনী মাত্র ১৩০০ জন। এই দেশটি সম্পূর্ণভাবে পর্যটনের উপর নির্ভরশীল এবং কোন দেশই এর শত্রু নয়। এখানে পারমাণবিক হামলার কোনো সম্ভাবনা নেই।

আরো পড়ুন: যাত্রীদের আর হেনস্তা হ’তে হ’বে না! ক্যাব চালকদের জন্য নতুন গাইডলাইন প্র’কা’শ রাজ্যের

তবে এই তালিকার শেষ নামটি কিছুটা চমকপ্রদ। সাধারণত মুসলিম দেশগুলো থেকে ইসরায়েলের অস্তিত্ব মুছে ফেলার হুমকি পাওয়া যায়। এতদসত্ত্বেও ইসরায়েলে পারমাণবিক হামলার সম্ভাবনা কমে যায় কারণ সেখানে মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদি ধর্মের অতি প্রাচীন নিদর্শন রয়েছে, যেগুলো কেউ ধ্বংস করতে চাইবে না। এমন পরিস্থিতিতে পারমাণবিক হামলার প্রশ্নই ওঠে না।