সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পা’গ’ল হয়ে কামড়াকামড়ি শুরু ক’র’বো, কা’ঠগ’ড়া’য় উ’ঠে চি’ৎ’কা’র বাংলাদেশি না’য়ি’কা পরীমণির

বাংলাদেশী অভিনেত্রী পরীমনিকে নিয়ে রীতিমতো উত্তাল বাংলাদেশ। এখনো পর্যন্ত মুক্তির পথ দেখতে পাননি তিনি। বেআইনিভাবে মাদক দ্রব্য সংরক্ষণের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে ছিলেন বাংলাদেশ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান। শনিবার তৃতীয় দফার রিমান্ড শেষে তাকে তোলা হয় আদালতে। গ্রেপ্তার হওয়ার পর একাধিকবার নিজের নিয়ন্ত্রন হারিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করতে শোনা গেছে তাকে। শনিবার আরো একবার আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করে উঠলেন পরীমনি।

কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে চিৎকার করে তিনি বলেন, কি করছেন আপনারা। এত দিন হয়ে গেল এখনো জামিন করাতে পারলেন না? আমার কষ্টটা আপনারা কেউ বুঝতে চাইছেন না। আমি তো আস্তে আস্তে পাগল হয়ে যাচ্ছি। এবার আমি সকলকে কামড়ানো শুরু করে দেব।

এই কথা বলার পরে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরীমনি। তাকে শান্ত করে কথা বলার চেষ্টা করেন আইনজীবীরা। কিন্তু শুনানি শেষ হবার পর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পরিমনির জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর আদালত চত্বরে উপস্থিত জনতার সামনে চিৎকার করে নিজের কথা বলেন পরীমনি। আদালত থেকে কড়া নিরাপত্তা দিয়ে তাকে বের করে আনা হয়েছিল। তার দুই হাত শক্ত করে ধরে ছিলেন মহিলা পুলিশ কর্মীরা।

আদালত চত্বরে পরীমনিকে দেখার জন্য উপস্থিত ছিলেন বহু মানুষ এবং সংবাদকর্মীরা। তাদের সকলকে সাক্ষী রেখে অভিনেত্রী হঠাৎ চিৎকার করে বললেন, আমায় মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপনারা কেন কিছু করতে পারছেন না কেন? কেন শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছেন? আমাকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছেনা আদালতে। আপনারা আমাকে ওপেন সার্চ করুন।

যদিও আর কিছু বলে ওঠার আগেই পরীমনিকে হাজতের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীমনি সত্যি দোষী নাকি তাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে তা সময়ই বলবে। তবে এই ঘটনার পর অভিনেত্রীর মার্কেট ভ্যালু যে মুখ থুবড়ে পড়েছে, তা বলাই বাহুল্য।