সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আমাদের দেশে কা’লা’জা’দু’র বি’রু’দ্ধে লড়াইয়ে আইন কতটা ক’ড়া? ও কিভাবে কা’জ করে?

কেরালার ন’র’ব’লি কা’ণ্ডে’র তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই উঠে আসছে একাধিক চাঞ্চল্যকর ত’থ্য। তবে, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও দেশের প্রতিটি রাজ্যে তন্ত্রমন্ত্রের মতো কু’সং’স্কা’র’গুলির বি’রু’দ্ধে ল’ড়া’ইয়ে আইন চালু না হওয়ায়, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

ইতিমধ্যেই পুলিশ ন’র’ব’লি কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মহম্মদ শফিকে গ্রে’ফ’তা’র করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত দম্পতি ভগবল সিং এবং তার স্ত্রী লায়লাকেও। তাদের পাঠানো হয়েছে বিচারবিভাগীয় হেফাজতেও। তদন্তে জানা গেছে, প্রথমে দুই মহিলাকে হাত-পা বাঁধা হয়। তার পর গলার ন’লি কেটে মা’রা’ত্ম’ক য’ন্ত্র’ণা দিয়ে তাঁদের খু’ন করা হয়।

এরপর মৃতদেহ টুকরো টুকরো করার আগে শরীর থেকে মুণ্ডগুলোকে আলাদা করা হয়। ন’র’ব’লি কা’ণ্ডে’র নি’ন্দা করে শোক প্রকাশ করেছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। শুধুমাত্র অসুস্থ মানসিকতরা অধিকারীরাই এই ধরনের অপরাধ করতে পারে বলে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন তিনি।

আরো পড়ুন: ডি’ভো’র্স হওয়ার পর এই নায়িকার প্রে’মে ম’জে’ছে’ন বাদশা

কুসংস্কারমূলক কাজ এবং তন্ত্রমন্ত্রের অনুশীলন ভারতীয় সংবিধানের ১৪, ১৫ এবং ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত মৌলিক অধিকারগুলি লঙ্ঘন করে বলে জানা যায়। তবে, ভারতে তন্ত্রমন্ত্রের মতো ঘটনা মোকাবিলা করার জন্য এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কোনও আইন নেই।

২০১৪ সালে কেরালায় এই ধরনের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে বিলের খসড়া তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। যদিও পরে সেই চেষ্টা ব্য’র্থ হয়। বিলেরে খ’স’ড়া তৈরি নিয়ে জেলা পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনাও হয়। তৎকালীন কেরালার স্বরাষ্ট্রসচিব নিবেদিতা পি হারানও এই সংক্রান্ত আইন প্রণয়নে আগ্রহীও ছিলেন । কিন্তু পরে আইন প্রণয়নের চেষ্টা ব্যর্থ হয়।