সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পদ্মা সেতু পা’ড় হতে কত খরচ হ’বে? জানুন টো’ল ট্যা’ক্সে’র পরিমাণ

গত ২৫ জুন বাংলাদেশের স্বপ্নের পদ্মাসেতুর উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সেতু নিয়ে অবেক ঝড় বইয়ে গেছে বাংলাদেশের সরকারের ওপর। কিন্তু সমস্ত বাধা অতিক্রম করে এই সেতু কিন্তু মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। কেউ কোনোদিন ভাবতেও পারে নি, পদ্মার মতো এত খরস্রোতা নদীর ওপর দিয়ে কখনও ব্রীজ হবে।

কিন্তু সেই ব্রীজ এখন দাড়িয়ে আছে পদ্মার বুকের ওপরে। বাংলাদেশের মানুষের জন্য এই সেতু দারুণ ভাবে একটি পারাপারের মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে। একটা সময় মানুষ জাজিরা প্রান্ত থেকে মাওয়া প্রান্তে আসতে ফেরি ব্যবহার করত, যেটা ছিল খুবই ঝুঁকি পূর্ণ। এমন অনেক ঘটনাই আছে, যেখানে ফেরি দুর্ঘটনার খবর রয়েছে।

তবে এই সেতু নির্মাণের পর আর তেমন কোনো ঝুঁকি থাকল না মানুষের, সাথে বেচে গেল প্রচুর সময়। এই পর্যন্ত সমস্তটাই ঠিক ছিল, কিন্তু শোনা যাচ্ছে মানুষের নাকি এখন ব্রিজ হওয়া সত্ত্বেও এক পার থেকে আরেক পারে যাওয়ার জন্য আগের তুলনায় আরও বেশী ভাড়া গুনতে হবে। এখন প্রশ্ন আসতেই পারে কিসের ভাড়া? এটা আসলে টোল ট্যাক্স।

আরো পড়ুন: শাসকদলের মধু পা’ন করতে অনেকেই তৃণমূলে যো’গ দিচ্ছেন, বললেন বিধায়ক আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়

বাংলাদেশ সরকার এই সেতু নির্মাণ করতে যে খরচ করেছে, তাঁর অর্থ মানুষ এই টোল ট্যাক্সের মাধ্যমে দিয়ে পূরণ করবে ৩৫ বছরের মধ্যে। যারা বাস কিংবা লরি নিয়ে ব্রিজের ওপর দিয়ে যাবে তাঁদের আমদানির খরচের মধ্যে ভাড়া ঢুকে পরবে। তাই তেমন একটা গায়ে না লাগলেও, সব থেকে গায়ে লাগবে প্রাইভেট গাড়ির মালিকদের, তাছাড়া যাদের রয়েছে বাইক।

আর এই টোল ট্যাক্স কি একবারই দিতে হবে? না এটা দিতে হবে দুইবার। পদ্মা সেতু যখন মানুষ ফেরিতে পার হত তখন যানবাহনের ভাড়া লাগত ৭০ থেকে ৩৯০০ টাকা। কিন্তু পদ্মা সেতু দিয়ে পার হওয়ার সময় সেই টাকা বেড়ে হয়ে গেছে ১০০-৬ হাজার টাকা।

যদি সমস্ত যানবাহনের টোল ফির কথা বলতে হয় তাহলে প্রথমেই বাইকের জন্য দিতে হবে ১০০ টাকা, ৫ টন পর্যন্ত ছোট ট্রাকের ক্ষেত্রে দিতে হবে ১৬০০ টাকা, মাঝারি ৮ টনের ট্রাকের ক্ষেত্রে ২১০০ টাকা, ৮-১১ টনের ট্রাকের ক্ষেত্রে ২৮০০ টাকা, বড় ট্রাকের ক্ষেত্রে ৫৫০০ টাকা, কার ও জিপ গাড়ির জন্য ৭৫০ টাকা, টেইলারের জন্য ৬০০০ টাকা।

এদিকে যাত্রীবাহি বাসের যদি কথাবলা যায় তাহলে বড় বাস ২৪০০ টাকা, মাইক্রোবাস ১৩০০ টাকা। সমস্ত গাড়ির জন্য টোল নির্ধারন করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু এই টোলের কারনে জিনিপত্রের দাম যে অনায়াসেই বৃদ্ধি পাবে সেটা কিন্তু স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।