সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

একটানা না ঘুমিয়ে কতদিন থা’কা স’ম্ভ’ব একজন সুস্থ মানুষের? একটানা জাগলেও কি হ’য়?

মানুষের জীবনের আর পাঁচটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মধ্যে ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে কারণ সমস্ত শরীরকে ব্যালেন্স করতে ঘুম খুবই প্রয়োজনীয়। একজন মানুষের দিনে ছ ঘন্টা করে ঘুম অত্যন্ত জরুরী, তা না হলে শারীরিক নানান ক্ষতি হতে থাকবে। নানান রোগের বাসাও বাঁধতে পারে শরীরে। এক নজরে সেই বিষয়গুলি আলোচনা করে নেয়া যাক আজকের প্রতিবেদনে:

বর্তমান লাইফ স্টাইলে মানুষের শরীরে ঘুমের ঘাটতি দেখা গিয়েছে। প্রতিযোগিতার যুগে তাই একজন কর্মরত মানুষ থেকে শিক্ষার্থীরা সবারই ঘুমের কমতি আছেই। অনেকে আবার অনিদ্রা রোগেও ভুগে থাকেন যদিও সেটি জেনেটিক গত। তবে তাদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক প্রোটিন জমতে থাকে, যার ফলে আস্তে আস্তে ঘুম নষ্ট হতে থাকে।

এমনকি শারীরিক দিক থেকেও সেই ব্যক্তি ভেঙে পড়তে পারে অর্থাৎ সমস্ত দিক থেকে ঘুমের অভাব শরীরে অনেক বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। লাইভ সায়েন্স এক রিপোর্ট পেশ করেছে যেখানে বলা হয়েছে একজন মানুষের সারাদিনে অন্তত ছয় ঘন্টা ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজনীয় তা না হলে ডিপ্রেশনের মতো সমস্যায় ভুগতে পারে।

আরো খবর: দী’র্ঘ ৭০০ বছর পর মহাষ্টমীতে গ্রহগুলোর মহামিলন, ৪ রাশির ভা’গ্য ব’দ’লে যা’বে রাতারাতি

তাছাড়াও রয়েছে হৃদরোগের ঝুঁকি , শারীরিক ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা এমনকি ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি। এ বিষয়ে অবশ্য মন্তব্য করেছেন অ্যালন এডউইন যিনি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্লিপ ডিস অর্ডার সেন্টারের প্রধান। তিনি বলেন যে সমস্ত ব্যক্তিরা দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান না তাঁরা কিন্তু আসলে মাইক্রো স্লিপ অবস্থাতে থাকেন।

এই মাইক্রোস্লিপ অবস্থার অর্থ হল তাঁরা জেগে থাকলেও তাদের মস্তিষ্ক মূলত অজ্ঞান অবস্থাতেই থাকে। নেচার অ্যান্ড বিজ্ঞান গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৯ সালে যেখানে বলা হয়েছিল একজন ব্যক্তি শরীর ১৬ ঘন্টা সক্রিয় থাকলে মন সংযোগ কমতে থাকে।

তবে ১৯৮৯ সালে যে গবেষণা করা হয়েছিল ইঁদুর নিয়ে তাতে ভয়ংকর তথ্য উঠে আসে বলা হয় প্রাণীগুলি শুধুমাত্র ১১ থেকে ৩২ দিনই ঘুম ছাড়া থাকা সম্ভব কিন্তু তারও বেশি হলে নিজেকে মৃত্যুর দিকে আরো একধাপ এগিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।