সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

দোষীদের জন্য ভ’য়া’ব’হ সা’জা, হাত-পা কেটে দেওয়ার শা’স্তি শুরু করতে চলেছে তা’লি’বা’ন

আফগানিস্তানে জঙ্গী রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরপরই ফের হাজার বছর পুরনো নৃশংসতা ফেরাতে চলেছে জঙ্গিরা। আফগানিস্তানে তালিবানি জঙ্গি শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আবার দোষীদের হাত-পা কেটে নেওয়ার বিধান চালু হতে চলেছে ওই রাষ্ট্রে। এর আগে আফগানিস্থানে দোষীদের সর্বসমক্ষে গুলি করে হত্যা করা হতো। চুরি কিংবা অন্যান্য স্বল্প অপরাধে হাত-পা কেটে নেওয়া হতো। তালিবান জঙ্গিদের এই তথাকথিত আধুনিক শাসনেও নাকি সেই একই শাস্তির বিধান চালু হতে চলেছে।

তালিবানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নুরউদ্দিন মনে করেন দেশের সার্বিক নিরাপত্তার খাতিরে এই শাস্তি চালু হওয়া অত্যন্ত জরুরী। আফগানিস্তানে প্রথম তালিবান জঙ্গী আমলে নুরউদ্দিনকে আফগানিস্তানের আইনমন্ত্রী এবং কারাগারের ভারপ্রাপ্ত করা হয়েছিল। ইসলামিক আইন সঠিকভাবে পালন হচ্ছে কিনা, ইসলামিক আইন কিভাবে বলবৎ করা হবে তা দেখাশোনার দায়িত্ব ছিল নুরউদ্দিনের উপর।

যদিও এই আমলে আফগানিস্তানের মাটিতে নুরউদ্দিনের ভূমিকা কি হতে চলেছে সেই নিয়ে স্পষ্টভাবে তালিবানরা কিছু জানায়নি। তবে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আফগানিস্তানের নতুন আইন সম্পর্কে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন আইনমন্ত্রীর তরফ থেকে। নুরউদ্দিনের বক্তব্য, কোন দেশে কি শাস্তির বিধান আছে সে সম্পর্কে তালিবানরা মাথা ঘামায় না। অতএব তালিবানরা কিভাবে দেশ পরিচালনা করবে সেই নিয়ে কোনো দেশের পরামর্শ তালিবানরা শুনবে না।

ইসলামকে অনুসরণ করে কোরআনের উপর ভিত্তি করে আফগানিস্তানের নতুন আইন কানুন লাগু করতে চলেছে তালিবানরা। আফগানিস্তান তালিবানি জঙ্গি শাসনের প্রথম আমলে খুনের অপরাধের অপরাধীকে নিহতের পরিবারের তরফ থেকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করার বিধান দেওয়া হয়েছিল। আফগানিস্তানের স্টেডিয়ামে অপরাধীদের হাত-পা কেটে নেওয়া হতো প্রকাশ্যে। এবারেও সেই একই বিধান লাগু হতে চলেছে।