সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

জালে উ’ঠ’লো আড়াই কেজি ও’জ’নে’র ইলিশ, দাম টা এ’ক’টু জা’ন’বে’ন কি?

এবারের জামাইষষ্ঠী অথবা অন্য যে কোন অনুষ্ঠানে আমাদের ইলিশ মাছ ছাড়া পালন করতে হয়। একটি ইলিশ মাছের ওজন বড়জোর এক কেজি থেকে দেড় কেজি হতে পারে। কিন্তু সম্প্রতি একটি বিপুল ওজনের ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে বাংলাদেশের কক্সবাজারের নাফ নদী থেকে। এই ইলিশ মাছের ওজন আড়াই কেজি। এই মাছটি বিক্রি করা হয়েছে দেড় হাজার টাকা কেজি দরে।

বিপুল ওজনের এই মাছকে একবার চোখের দেখা দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তবে শুধুমাত্র এই ইলিশ মাছ নয়, আরো তিনটি ছোট আকারের ইলিশ মাছ জালে ধরা পড়েছে। এই আড়াই কেজির ইলিশ মাছ কিনে টেকনাফ পৌরসভার বাস স্টেশনের এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মজাহার আলম রাতারাতি হয়ে গেছেন বিখ্যাত।

টেকনাফ উপজেলার মৎস্য দপ্তরের আধিকারিক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, সাধারণত আড়াই কেজি ওজনের ইলিশ মাছ সচরাচর দেখতে পাওয়া যায় না। তবে এর আগে এই নদী থেকেই আড়াই কেজির বেশি ওজনের আরো একটি ইলিশ মাছ ধরা পড়েছিল। এর অন্যতম কারণ হলো, এই নদীতে চার বছর ধরে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই নদীতে মাছের আকার এত বড় হয়ে গেছে।

মায়ানমার এবং বাংলাদেশের সীমান্তে অবস্থিত এই নদী। সেখানকার মাছ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ এবং ইয়াবার পাচারের অভিযোগ আসার পরে ২০১৭ সালের এপ্রিল মাস থেকে এই নদীতে মাছ ধরা বন্ধ হয়ে যায়। যদিও কিছু মৎস্যজীবী রাতের অন্ধকারে মাছ ধরা অব্যাহত রেখেছেন।

এলাকার মৎস্যজীবী জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ভীষণভাবে দুরবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তারা। তাই সংসার চালানোর জন্য মঙ্গলবার বিকেলে একটি ছোট নৌকা নিয়ে নাফ নদীতে জাল ফেলেন তারা। সন্ধ্যার পর দেখেন যে চারটি ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে। তার মধ্যে তিনটি ছোট এবং একটি অতিরিক্ত বড় আকারের। মৎস্যজীবীরা এই মাছগুলি মোজাহার আলমের কাছে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। ইলিশ মাছ গুলি মোজাহার নামে এই মৎস্য ব্যবসায়ী ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন।