সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

হার্ট অ্যাটাকে নাকি অবিবাহিতরা বেশি মা’রা যান! রিপোর্ট ঘি’রে চা’ঞ্চ’ল্য

এক সমীক্ষায় দেখা গেছে বিবাহিতদের তুলনায় অবিবাহিতরা কম আত্মবিশ্বাসী হন। বিবাহিতদের সামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। অবিবাহিতদের হার্ট অ্যাটাকের কারণে মৃত্যু হয় বেশি। গবেষণার এই দাবিকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চারিদিকে। এ প্রসঙ্গে বহু মানুষ মন্তব্য করেছেন।

কেন বিবাহিতদের তুলনায় অবিবাহিত হৃদরোগীদের গড় আয়ু কম তা কি জানেন! সম্প্রতি মাদ্রিদের ইউরোপিয়ান সোসাইটি অফ কার্ডিওলজি থেকে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণার যুক্তি স্বরূপ বলা হয়েছে, সামাজিক সমর্থনমূলক কার্যকলাপ মানুষকে দীর্ঘজীবী হতে সাহায্য করে।

এই বিষয়ে জার্মানির ইউনিভার্সিটি হসপিটাল ওয়ারজবার্গের কম্প্রিহেনসিভ হার্ট ফেলিওর সেন্টার থেকে ডক্টর ফ্যাবিয়ান কেরওয়াগেন জানিয়েছেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ওষুধ খেতে, স্বাস্থ্যকর আচরণ করতে প্রতি মুহূর্তে সাপোর্ট করে। আর সেক্ষেত্রে অবিবাহিত অসুস্থ ব্যক্তিরা বিবাহিত রোগীদের তুলনায় সামাজিকভাবে একটু কম মেলামেশা করেন।

আরো পড়ুন: এবার কলকাতার রাস্তায় দে’খা গে’ল উচ্ছেবাবু ট্যাক্সি, রইলো ছ’বি

এই গবেষণাটি ২০০৪ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রায় ১০২২ জন হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। যাদের মধ্যে বিবাহিতের সংখ্যা ৬৩৩ এবং অবিবাহিতের সংখ্যা ৩৭৬ জন। আর বাকিদের মধ্যে কিছু জন বিপত্নীক আবার কিছু জন ডিভোর্সি।

কানসাস সিটি কার্ডিওমায়োপ্যাথি প্রশ্নাবলী এই গবেষণায় ব্যবহার করা হয়েছিল। এখানে হৃদ রোগীদের ওপর করা গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে সামগ্রিক জীবনযাত্রার মানের দিক থেকে বিবাহিত এবং অবিবাহিত রোগীদের মধ্যে সেভাবে কিছু পার্থক্য না থাকলেও সামাজিক কার্যক্রমের দিক থেকে অবিবাহিত ব্যক্তিরা বিবাহিত ব্যক্তিদের তুলনায় সেভাবে ভালো পারফর্ম করেননি।

কারণ মন ভালো রাখার জন্য সামাজিক মেলামেশা অত্যন্ত জরুরী। আর বিবাহিত ব্যক্তিরা সামাজিক ক্রিয়াকলাপে বেশি যুক্ত থাকেন। আর যেসব রোগীদের স্বামী বা স্ত্রী মারা গিয়েছেন তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি সবথেকে বেশি ছিল বলে জানা গেছে।