সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ডাক্তারি ছে’ড়ে নিজের ইচ্ছেতেই এসেছেন অভিনয়ে, নেপোটিজমের মধ্যেই নিজের দ’মে হয়েছেন স’ফ’ল

ভারতীয় চলচ্চিত্রে এমন বহু অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের আমরা দেখি তারা তাদের কেরিয়ারে সফল হলেও এডুকেশনের দিক থেকে অনেকটাই কম। তাই সকলের একটা ধারণা তৈরি হয়ে গেছে যারা সিনেমা জগতের মানুষ তারা বেশি দূর অবধি পড়াশোনা করে নি। তবে এই ধারণা মোটেই ঠিক নয়। এমন অনেক অভিনেতা রয়েছেন যারা যথেষ্ট উচ্চশিক্ষিত। এখন তো বিশেষ করে প্রায় বেশিরভাগ অভিনেতা ও অভিনেত্রীই উচ্চশিক্ষিত। আসুন জেনে নেওয়া যাক কিছু অভিনেতাদের নাম ও তাদের শিক্ষা যোগ্যতা কতদূর।

ডক্টর শ্রীরাম লাগু – এই ব্যাক্তিটি পেশায় চিকিৎসক হলেও বলিউডের সেরা শিল্পীদের নামের তালিকা তৈরি করা হলে শীর্ষের দিকেই থাকবে শ্রীরামের নাম। তাঁর ‘বেবফাই’, ‘দেবতা’, ‘পরদেশ’, ‘লাওয়ারিশ’এর মত ছবিতে অভিনয় করা শ্রীরাম পুনে মেডিক্যাল কলেজ থেকে নিজের পড়াশোনা সম্পূর্ণ করেছেন। ১৯৬৯ সালে অভিনয়ের দুনিয়ায় পা রাখার আগে দীর্ঘদিন হাসপাতালে প্র্যাকটিস করেছেন।

ডক্টর কাশীনাথ ঘানেকার– ডক্টর কাশীনাথ ছিলেন মারাঠি স্টেজের প্রথম সুপারস্টার। তাঁর ‘অভিলাষা’, ‘মা’এর মতো বলিউড ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। তবে অভিনয়ের দুনিয়ায় পা রাখার আগে উনি একজন দাঁতের সার্জন হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু অভিনয় বরাবরই ওনার প্রথম ভালোবাসা ছিল। তাই ফের সেখানেই ফিরে আসেন তিনি।

ডক্টর ম্যায়াং চ্যাং – ম্যায়াং চ্যাং একজন নামী গায়ক, সঞ্চালক এবং অভিনেতা আমরা সকলেই জানি তাঁর কথা। কিন্তু অনেকেই জানেন না তিনি একজন ডক্টরও। ম্যায়াং বেঙ্গালুরুর বিএস ডেন্টাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল থেকে বিডিএস ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তবে গান ও অভিনয় বরাবর তাঁর প্রথম ভালোবাসা ছিল। সেই কারণে পড়াশোনা সম্পূর্ণ করে গান এবং অভিনয়ের দুনিয়ায় পা রাখেন ম্যায়াং। ‘বদমাশ কোম্পানি’, ‘সুলতান’, ‘ভারত’এর মতো ছবি  এবং ‘মডার্ন লাভ মুম্বই’এর মতো সিরিজে অভিনয় করেছেন তিনি।

বড়সড় পথ দু’র্ঘ’ট’না’র শি’কা’র CID খ্যা’ত অজয় নাগরথ

ডক্টর মোহন আগাশে – ইনি ১৯৭৫ সালে ‘নিশান্ত’ ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন।কিন্তু তার শিক্ষাগত যোগ্যতায় তিনি কিছু কম যান না। তিনি পুনের মেডিক্যাল কলেজ থেকে নিজের এমবিবিএসের পড়াশোনা সম্পূর্ণ করেছেন মোহন। সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করার পর উনি এই বিষয়ের অধ্যাপক হয়ে যান। কিন্তু তিনি অভিনয় খুবই ভালোবাসতেন আর সেই টানেই তিনি অভিনয় জগতেই আবার ফিরে আসেন।

ডক্টর অদিতি গোভিত্রিকর- নামী অভিনেত্রী অদিতি ১৯৯৭ সালে মুম্বইয়ের গ্রান্ট মেডিক্যাল কলেজ থেকে নিজের এমবিবিএসের পড়াশোনা সম্পূর্ণ করেছেন। এরপর ‘ইগ্নু’ থেকে সাইকোলজির ডিগ্রি গ্রহণ করেন। যদিও ডাক্তারি পড়লেও সাউথ সুপারস্টার পবন কল্যাণের বিপরীতে ‘থমুদ্দু’ ছবির হাত ধরে অভিনয় দুনিয়ায় পা রাখেন অদিতি। এরপর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।

ডক্টর পলাশ সেন– পলাশ সেনের নামও এই লিস্টে রয়েছে, উনি পেশায় একজন গায়ক, গীতিকার এবং সুরকার। ওনার ব্যান্ডের নাম ‘ইউফোরিয়া’। পলাশের প্রথম অ্যালবাম রিলিজ হওয়ার পর থেকেই সেটি শ্রোতাদের পছন্দ হয়ে যায়। এরপর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাননি তিনি। জানিয়ে রাখি, পলাশ ‘ফিলহাল’, ‘মুম্বই কাটিং’এর মত ছবিতে অভিনয়ও করেছেন।

ডক্টর আশিষ গোখলে– জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল ‘তারা ফ্রম সিতারা’য় বরুণ মানের চরিত্রে অভিনয় করা আশিষের নামও লিস্টে রয়েছে। জানিয়ে রাখি, মেডিক্যাল ডিগ্রি প্রাপ্ত এই অভিনেতা প্রথম ব্রেক পেয়েছিলেন ‘কুমকুম ভাগ্য’ ধারাবাহিকের হাত ধরে। এরপর ‘গব্বর ইজ ব্যাক’ ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি।