বাবা-মার বিচ্ছেদের পর মানুষ হয়েছেন ঠাকুমার কাছে। ঠাকুমার ছত্রচ্ছায়াতেই থেকে আসতে আসতে বড় হয়েছেন, জীবন কাকে বলে সেই সমস্ত বুঝেছেন। দুঃখের মধ্য দিয়ে কাটিয়ে জীবনের প্রতিটি প্রতিকূলতাকে জয় করে আজ সে ভারতের একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি। কথা হচ্ছে ভারতের বড় শিল্পপতি রতন টাটার সম্পর্কে।
বাবা-মার বদলে ঠাকুমার কাছেই ধীরে ধীরে বড় হয়েছেন। তিনি একটি ফেসবুক পেজের সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তিনি প্রথম প্রেমে পড়েছিলেন কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়।শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেই প্রেমের সম্পর্ক আর বহুদূর পর্যন্ত এগোতে পারেনি। ভালো-মন্দ সমস্ত কিছুর মধ্যে দিয়ে প্রেমের গতি বয়ে যাচ্ছিল।
রতন টাটার বয়স যখন দশ বছর সেই সময়ে তাঁর বাবা-মা বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন। আস্তে আস্তে বড় হয়ে ওঠেন ঠাকুমা নভোজবাই টাটার কাছে। জীবনে কিভাবে একজন বড় ব্যবসায়ী হওয়া যায় সেই মূল্যবোধের শিক্ষাটাও তিনি পেয়েছিলেন তার ঠাকুরমার কাছ থেকে। রতন টাটা জানান ww.২ হওয়ার পর তাকে এবং তাঁর ভাইকে নিয়ে লন্ডনে যান তাঁর ঠাকুরমা।
আরো পড়ুন: ডি’প’নে’ক ব্লাউজে অনুরাগীদের উ’ষ্ণ’তা’র ছোঁ’য়া দিলেন দুই নায়িকা, কে কাকে দিলেন টে’ক্কা?
সেখানেই কখন চুপ থাকতে হয় এবং কখন কথা বলতে হয় সেই সমস্ত সম্পর্কে নানান শিক্ষা দিয়েছিলেন ঠাকুরমা। ছোটবেলা থেকেই বাবার সাথে তাঁর একটা খুব বেশি পটতো না। তিনি চাইতেন বেহালা বাজাতে কিন্তু তার বাবা চাইতেন ছেলে যেন পিয়ানো শিখবে। বাবা চেয়েছিলেন রতন টাটা যেন একজন ইঞ্জিনিয়ার হয় কিন্তু অন্যদিকে রতন টাটা চাইছিলে যে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলেজে পড়বেন।
তাঁর ঠাকুমার জন্য তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পেরেছিলেন আর্কিটেকচার নিয়ে স্নাতক পাস এই বিষয়ে রতন টাটার বাবা একপ্রকার হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন । আর্কিটেকচার স্নাতক পাস করে লস এঞ্জেলেসের দীর্ঘ দুই বছর ধরে রতন টাটার চাকরিতে নিযুক্ত ছিলেন এ সময় তাঁর কাছে খুব সুখের সময় ছিল। নিজস্ব গাড়ি ছিল বাড়ি ছিল চাকরিজীবন একটি সুখের জীবন।
অবশেষে জীবনে আসে প্রেম। চেয়েছিলেন’ বিয়ে সেরে ফেলতে কিন্তু ঠাকুমার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার জন্য ফিরে আসতে হয় বাড়িতে। এই কারণে বিয়েটা স্থগিত রাখতে হয়েছিল। রতন টাটা ভেবেছিলেন যে যাকে তিনি ভালোবাসেন তিনি ও হয়তো তাঁর সঙ্গে ভারতে চলে আসবে কিন্তু সেই সময় চলছিল ভারত চীন যুদ্ধ, মেয়েটির বাবা কিছুতেই রাজী হলেননা ভারতে পাঠাতে। যার ফলে অবশেষে ভেঙে গেল সম্পর্কটা।