সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আপনার জ্বর-সর্দি-কাশি হয়েছে? “অ্যান্টিবায়োটিক” না খাওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের

যত দিন যাচ্ছে সারা বিশ্বেই রোগের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে এখন আচমকা জ্বর চলে আসছে আর সাথে কাশিও হচ্ছে এই সমস্যাটা এত বেড়ে গেছে যে এসব হলেই লোকে মুঠো মুঠো অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছে। তাই আইএমএ থেকে কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে। যেমন – অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে এই ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং ভাইরাল জ্বর হয়। ৫০ বছরের বেশি বয়সের ব্যক্তিদের মধ্যে এই ধরনের জ্বর বেশি দেখা গিয়েছে। এদিকে ১৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের মধ্যেও এই জ্বর দেখা যাচ্ছে।

এই সব ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ না খেয়ে কাশির ওষুধ বা প্যারাসিটামোল খাওয়া উচিত। অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া ঠিক নয় এই ক্ষেত্রে। এছাড়াও কি রোগ হচ্ছে কোন ব্যাক্টেরিয়ার দ্বারা হচ্ছে সবটাই আগে পরীক্ষা করে সিওর হয়ে তবেই ওষুধ খাওয়া উচিত বলে জানাচ্ছেন বিশিষ্ট চিকিৎসকরা। যেমন এটা যদি ডায়রিয়া হয় তাহলে ৭০ শতাংশ কেসেই দেখা যায় তা ভাইরাল। এই ক্ষেত্রে অ্যামকজিসিলিন, নরফ্লক্স, সিপ্রোফ্লক্সাসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক একারণে দেওয়া হচ্ছে এই ধরনের ক্ষেত্রে।

তবে যেভাবে অ্যাডিনো ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে সেখানে চিন্তা বাড়ছে সকলেরই। কলকাতাতেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই কয়েকজন শিশু মারাও গেছে। তাই এবার অ্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলায় আরও এক নতুন নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোবেন এবং শিশুদেরও এটা অভ্যাস করান। বাইরে থেকে এসে জামা-কাপড় বদল করে এবং হাত ধুয়ে তবে শিশুদের কাছে যাবেন।

আরো খবর: রাধারানীকে খুশি করতে মহাদেব এই স্তোএ র’চ’না করেছিলেন, মনের কা’ম’না পূরণ ক’র’তে আজই পড়ুন

ভিড় থেকে শিশুদের দূরে রাখাই ভালো। যেখানে ভিড় বেশি দেখবেন সেখানে যেতে হলে মাস্ক ব্যবহার করবেন। কাশি বা হাঁচির সময় রুমাল অথবা নিজের কনুই দিয়ে মুখ ঢাকা দিন। যেখানে সেখানে কফ বা থুতু ফেলবেন না। এছাড়াও যে সব শিশুদের কোনও গুরুতর জন্মগত অসুখ বা অপুষ্টিজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের বিশেষ সাবধানে রাখতে হবে।

বড়দের কারও যদি সংক্রমণ হয় তিনি শিশু, অতিবৃদ্ধ এবং গর্ভবতী মহিলার থেকে দূরে থাকবেন। বাচ্চাদের এই রোগ হয়েছে জানলে স্কুলে পাঠাতে মানা করা হয়েছে অভিভাবকদের। এছাড়াও, কিছু টোটকা বলা হয়েছে এই রোগ থেকে একটু সুস্থতার জন্য। প্রতিদিন হালকা গরম নুন-জলে গার্গল করুন।

ছোট বাচ্চাদের হালকা গরম জল বা অন্য যে কোনও গরম পানীয় বারে বারে খেতে দিন। বাসক, আদা, তুলসি, লবঙ্গ কাশি কমায় এবং কফ পাতলা হতে সাহায্য করে। তাই এই সময় কাশি হলে এগুলি খাওয়া যেতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শিশুকে অ্যান্টিবায়োটিক বা কাফ সিরাপ দেবেন না বলেও জানিয়েছে আইএমএ-র তরফ থেকে।