সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

সাধারণের জন্য ভা’লো খবর, ১০-১৫ শতাংশ স’স্তা হ’লো ভোজ্য তে’ল

ভারতে প্রায় ২২০-২২৫ মিলিয়ন টন ভোজ্য তেলের ব্যবহার হয়। এর মধ্যে প্রায় ৬৫ ​​শতাংশ তেল আমদানি করা হয়। দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা ও অভ্যন্তরীণ সরবরাহের মধ্যে ব্যবধান মেটাতে প্রায় ১৩০-১৩৫ মিলিয়ন টন তেল আমদানি করতে হয়। যেখানে গত দুই বছরে করোনা মহামারির কারণে আমদানি প্রায় ১৩ মিলিয়ন টনে নেমে এসেছে।

এবার ইমামি, ফরচুন, সানরিচ, রুচি গোল্ডের মতো একাধিক জনপ্রিয় ভোজ্য তেল প্রস্তুতকারী সংস্থার তেলের দাম কমতে চলেছে। গত সোমবার সলভেন্ট এক্সট্রাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া ( SEA)-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, দেশের শীর্ষস্থানীয় ভোজ্য তেল সংস্থাগুলি দামের নিরিখে গ্রাহকদের স্বস্তি দিতে চলেছে।

সংস্থাগুলি ভোজ্যতেলের সর্বোচ্চ খুচরো মূল্য অর্থাৎ MRP প্রায় ১০-১৫ শতাংশ হারে কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার একটি বিবৃতি প্রকাশের মাধ্যমে SEA জানিয়েছে যে, “আমরা আনন্দের সাথে জানাচ্ছি, ভোজ্য তেল উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি তাদের বিক্রয় করা রান্নার তেলের দাম সক্রিয়ভাবে কমিয়েছে। যার ফলে সব ব্র্যান্ডের তেলের দাম প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। উৎসবের মরসুমে জনসাধারণকে স্বস্তি দিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”

পাশাপাশি, আগামী বেশ কয়েক মাসে ভোজ্য তেলের দাম অনেকটাই কমবে বলে আশাবাদী SEA। আন্তর্জাতিক বাজারে অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভোজ্যতেলের দাম হঠাৎই আকাশছোঁয়া হয়ে গিয়েছিল বলে মনে করছে সংস্থাটি।

কয়েক দিন আগে কেন্দ্রীয় খাদ্য সচিব সুধাংশু পান্ডে ভোজ্য তেল শিল্পের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। তাতে তিনি ভোজ্যতেল আমদানিতে শুল্ক হ্রাসের বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। গত ২০ ডিসেম্বর ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার পরিশোধিত তেলের শুল্ক প্রায় ১৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২.৫ শতাংশে নিয়ে আসে।