সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কলকাতার গণেশ মন্দির, এখানে প্রা’র্থ’না করলে সব আশা পূ’র’ণ করেন বিনায়ক

পশ্চিম ভারতে সিদ্ধিবিনায়কের পূজোর প্রচলন রয়েছে বহুদিন থেকেই। কালক্রমে পূর্ব ভারতেও গণেশের পুজোর প্রচলন বাড়ছে। পূর্ব ভারতের মূল শহর কলকাতায় গনেশ মন্দিরের ছড়াছড়ি।তেমনি শহর কলকাতার এক বিখ্যাত জাগ্রত মন্দির রয়েছে যেখানে পুজো করলে মনের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করেন গজানন। সিদ্ধিদাতা গণেশ, অর্থাৎ সমস্ত সমৃদ্ধি দান করেন আদি দেবতা গণেশ। জ্যোতিষ অনুযায়ী গণেশ হলেন বুদ্ধির দেবতা। যেকোনো কাজে পারদর্শিতার জন্য গণেশের শরণাপন্ন হয়ে থাকেন দেব দেবীরাও। পশ্চিম ভারতে দশ দিন ধরে চলে গণেশ উৎসব। সেলিব্রিটি থেকে সাধারণ বাড়িতেও ধুমধাম করে গণেশ পূজার আয়োজন করা হয়।

দেশের অন্যান্য রাজ্যের মত পশ্চিমবঙ্গেও গণেশ পুজোর বেশ চল হয়েছে ইদানিং। তেমনি কলকাতায় রয়েছে সব থেকে প্রাচীন এক গণেশ মন্দির। রাজপ্রাসাদের মতন এই মন্দির। উত্তর কলকাতার মুক্তারাম বাবু স্ট্রিটে রয়েছে এই মন্দির। মহাত্মা গান্ধী রোড মেট্রো স্টেশন থেকেই ১০ মিনিট হাঁটলেই বাঁদিকেই পড়বে এই মন্দির। তৃতীয় গলিতে শ্বেত পাথরের তৈরি এই মন্দিরের রয়েছে বড় আকারের ঝাড়বাতি ঠাকুর দালান নাট মন্দির।

প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যে আটটা পর্যন্ত চলে পুজো। শহর কলকাতায় এই মন্দিরে পুজো অর্চনা করেন মূলত ব্যবসায়ীরা। বংশ পরম্পরায় মন্দিরের পূজা করে আসছেন পুরোহিত। এই দেবতা অত্যন্ত জাগ্রত। কোন বিপদে পড়লেই মানুষ ছুটে যান তার কাছে।সিদ্ধিবিনায়কের প্রসাদ হিসেবে এখানে লাড্ডু এবং নারকেল দেওয়া হয়। বলা হয় মানসিক করলে এক বছরের মধ্যেই তা পূর্ণ হয়। মনের ইচ্ছে পূর্ণ হওয়ার পর দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন সাধ্যমত পুজোর ডালা নিয়ে।

আরো খবর: সামান্থার মেদহীন শ’রী’রে’র রহ’স্য কি? কোন কোন ব্যা’য়া’ম করেন অভিনেত্রী?

কেউ কেউ বলেন শতাধিক বছরের প্রাচীন এই মন্দির। আবার কেউ কেউ বলেন মুম্বাইয়ের গণেশ মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে। তবে শুধুমাত্র গণেশ নন এখানে পূজিত হন তার মা বাবা অর্থাৎ শিব পার্বতী। মনের যাবতীয় আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে একদিন ভক্তি ভরে পূজো দিয়ে আসুন কলকাতার এই সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরে।