সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

গত ১০ দিন ধরে জেলবন্দির পে’টে লু’কি’য়ে ছি’লো আস্ত মোবাইল

১০ দিন ধরে একটা মোবাইল ফোন মানুষের পাকস্থলীর মধ্যে আটকে থাকার মানে বোঝেন! এতো সহজ ব্যাপার নয়। তিহার জেলের বন্দি ওই ব্যক্তিকে প্রথমে দীন দয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর তাকে পাঠানো হয় জিবি পন্থ হাসপাতালে। পেট থেকে কীভাবে মোবাইল ফোন উদ্ধার করা যায় তা নিয়ে চিকিৎসকদের রীতিমতো রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল। দুম করে কোনও পদক্ষেপ নিতেও পারছিলেন না তারা।

মোবাইল গিলে নেওয়া ওই রোগীকে সারাক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। সূত্রের খবর, গত ৫ জানুয়ারি সে গিলে নিয়েছিল মোবাইলটি। ১০ দিন পর অর্থাৎ ১৫ জানুয়ারি তার পেট থেকে সেই মোবাইল বার করা হল। শেষমেষ এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে তা বার করেন চিকিৎসকরা। তারপর থেকে ওই রোগীকে কঠোর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। ৪ দিন নজরে রাখার পর তাকে সুস্থ করে ফের জেলে পাঠানো হয়েছে।

কোনও সংশোধনাগারেই বন্দিরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারেন না কারণ তা নিষিদ্ধ। তাহলে গারদের পিছনে থাকাকালীন ওই বন্দীর কাছে মোবাইল ফোন পৌঁছালো কি করে? দিল্লির তিহার জেলকে অন্যতম সুরক্ষিত জেল বলেই মনে করা হয়। কিন্তু কিসের সুরক্ষা! সেখানেই তো মোবাইল ও অন্য বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম নিশ্চিন্তে পৌঁছে যাচ্ছিল বন্দিদের হাতে। আর সেই কাজ কীভাবে হচ্ছিল তা নিয়ে খোঁজ শুরু হতেই জানা যায় এর পিছনে রয়েছেন জেলের আধিকারিকরা। গত ৬ মাসে ৪০ জন এমন আধিকারিকের খোঁজ পায় তদন্তকারী সংস্থা।

আর এরপরই জেলের মধ্যে কার কাছে কি রয়েছে তা নিয়ে জোরদার খোঁজ শুরু হয়। গত ৫ জানুয়ারি ১ নম্বর জেলে বন্দি এক ব্যক্তিকে সন্দেহ হওয়ায় কারারক্ষীরা তাকে পরীক্ষা করতে যান। তখনই তার সাথে থাকা মোবাইল ফোনটি কোথাও লুকোতে না পেড়ে গিলে ফেলে সে।