সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের কানপুর সফরে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। নিজের হোমটাউনে গিয়ে তিনি সেখানকার মানুষদের কর দেওয়ার পক্ষে উৎসাহিত করেছেন। সেখানে গিয়ে রাষ্ট্রপতি নিজের বেতন এবং কর দেওয়ার হারের কথা স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন। রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন যে প্রতি মাসে তিনি যা বেতন পান তার থেকে অর্ধেকেরও বেশি তার কর দিতেই চলে যায়। সকল মানুষকে কর দেওয়ার পক্ষেই উদ্বুদ্ধ করেছেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন প্রতি মাসে তিনি পাঁচ লক্ষ টাকা বেতন পান। এর মধ্য থেকে আবার প্রতিমাসে কর বাবদ ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দিতে হয় তাকে। রাষ্ট্রপতি এদিন মজার ছলেই বলেন, সকলেই ভাবেন দেশের রাষ্ট্রপতি মানেই বেতন সকলের থেকে বেশি। তবে প্রতিমাসে কর দিতে গিয়ে তার হাতে অর্ধেক টাকাও থাকেনা। তিনি এও বলেছেন তার দপ্তরের আধিকারিকেরা সেই হিসেবে তার থেকে বেশি মাইনে পান। তবুও তিনি দেশের উন্নয়নের স্বার্থে কর ফাঁকি দেওয়ার পক্ষে নন।
Driving down several streets (and many a memory lane) in his native village Paraunkh, President Ram Nath Kovind’s motorcade reached his ancestral home that is now donated for public use and converted into a community centre (Milan Kendra). Nostalgic moments at every turn! pic.twitter.com/QXCYrLcvJw
— President of India (@rashtrapatibhvn) June 27, 2021
রাষ্ট্রপতি এদিন জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের উন্নয়নের জন্য কর দেওয়াটা অত্যন্ত জরুরী। সঠিক সময়ে কর দেওয়া প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব। না হলে দেশের উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সাধারণ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হবে। তিনি এও বলেছেন যে, তিনি কখনো ভাবতেই পারেননি যে তার মত সাধারণ গ্রামের একটি ছেলে কখনো রাষ্ট্রপতির আসনে বসতে পারেন।
সম্প্রতি তিন দিনের সফরে উত্তরপ্রদেশে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। একটি বিশেষ ট্রেনে দিল্লি থেকে কানপুর পৌঁছান তিনি। এরপর সেখান থেকেই তিনি তার জন্মভূমি ঝিনঝাক শহরে যান। সেখানে প্রবেশ করে তিনি জন্মভূমির মাটি স্পর্শ করে প্রনাম করেন। রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফ থেকে পরে একটি টুইট বার্তায় সেই ছবি পোস্ট করা হয়েছে।