সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এবছর হালখাতা করতে গে’লে কত টা’কা জ’মা করতে হ’বে জেনে নিন, জানুন বাজারের নতুন “রেট”

২০২০ সালে করোনার জন্য গোটা দেশ বিদেশের অর্থনীতির ওপর বিশাল একটি প্রভাব পড়েছে, যার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের হাল বর্তমান সময়ে সঠিক হতে পারেনি, এই করোনার জেরে ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হয়েছে।

সময় কোন দিক থেকে বছর গড়িয়েছে কেউই আমরা বুঝতে পারিনি তবে একটি সময় যেখানে করোনার থাবা কিছুটা হলেও কমেছে সেইখানে দাঁড়িয়েই আর কয়েকটা দিন যখন নতুন বছর আসতে চলেছে।

বাংলা ক্যালেন্ডারের এই নতুন বছরে মানেই হলো ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে একটি বিশেষ দিন। ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা হালখাতা অর্থাৎ নতুন খাতা খোলেন।

আরো পড়ুন: শিক্ষক নি’য়ো’গ দু’র্নী’তি’তে পার্থর পা’শে দাঁ’ড়ি’য়ে কুণালকে বিঁ’ধ’লে’ন ফিরহাদ

হালখাতার প্রধান ভিত্তি হলো বিক্রেতাদের কাছে ক্রেতারা কিছু টাকা রেখে নতুন করে খাতা খোলেন। তবে করোনায় যেভাবে ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছে এই ক্ষতির ওপর ভিত্তি করে কলকাতার ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল একটি সংবাদ মাধ্যমের তরফ থেকে ব্যবসা সংক্রান্ত এবং তারা জানিয়েছেন, ব্যবসার অবস্থা বর্তমানে ভালো নয়।

দমদমের এক ছোট্ট মুদিখানা দোকানের মালিকের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলা হয়েছে এবং যিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই বাজারে প্রচুর টাকা বাকি আছে, প্রত্যেকের অবস্থাই খারাপ।

এরকম অবস্থায় কারো কাছ থেকে কিছু চাওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাই প্রত্যেক বছর যে ভাবে হালখাতা নিয়ম মানা হয় সেই ভাবে আর নিয়ম মানা যেতে পারছে না।

গড়িয়ার এক মিষ্টির দোকানের মালিক জানিয়েছেন, হালখাতার দিন যারাই দোকানে আসে তাদের একটা মিষ্টির প্যাকেট দিতে হয় কিন্তু সেই ক্ষেত্রে অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। আর এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, মিষ্টি ক্যালেন্ডার সমস্ত কিছু দিয়ে প্রায় ৩০০ টাকার কাছাকাছি খরচা হয়ে যায় এক একজনের জন্য।

কলকাতার একাধিক ব্যবসায়ীদের মতে এই মুহূর্তে যেভাবে বাজারে প্রচুর টাকা দেনা পড়ে রয়েছে সেখানে হালখাতার দিন কোন কিছু উপহার তারা দিতে পারবেন না, শুধু তাদেরকেই দেওয়া হবে যারা দোকানে কোনরকম ধার বাকি না নিয়েই মাল নিয়ে যাবেন।