সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

অভিনব শা’স্তি! ধ’র্ষ’ক’দে’র জো’র করে করা হচ্ছে “নপুংসক”, ক্ষ’মা চেয়ে পায়ে পড়ছে দো’ষী’রা

শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন যেন সমগ্র বিশ্বজুড়ে নিতান্ত খেলায় পরিণত হচ্ছে দিনদিন। তাই এমন অভিযোগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির নির্দেশ দিচ্ছে কাজাকিস্তান সরকার। প্রত্যেক অপরাধীদের ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করে নপুংসক করে দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি মিডিয়ার সামনে এক অপরাধী নিজের দোষ স্বীকার করে ক্ষমাভিক্ষা চেয়েছে। সেই ছবি ভাইরাল হয়।

এমন অপরাধীদের জন্য শুধুমাত্র জেলের সাজাই যথেষ্ট নয়। উপরন্তু তাদের শরীরে প্রয়োগ করা হচ্ছে ইঞ্জেকশন। সম্প্রতি এক অপরাধীকে প্রথম ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে। তিনি মিডিয়ার সামনে গোটা বিষয়টির তীব্র নিন্দা করেন এবং বিষয়টিকে বর্বর বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, পরম শক্রুকেও যেন এই শাস্তি না দেওয়া হয়।

চৌদ্দ বছরের স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত আরেক বছর পঞ্চাশের অপরাধীও শাস্তি মকুবের দাবি জানিয়েছেন। তাকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সে বলল, ‘আমার বাড়িতে বাচ্চা আছে। তাদের মধ্যে কেউ নাবালক।

মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযুক্ত মারাত জানান, “এটা সত্যিই পাশবিক। আমি আরও বাঁচতে চাই।চাই। এটা ঠিক হচ্ছে না। আমার পরিবার রয়েছে।” নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টায় দোষী সাব্যস্ত জানান, একটি জেলে নিয়ে গিয়ে তাকে নপুংসক করার জন্য ৩টে ইঞ্জেকশনই দেওয়া হয়েছে।

এক অপরাধী নিজের এরূপ অপরাধের জন্য লজ্জাপ্রকাশ করেছেন। তিনি অন্য পুরুষদের উদ্দেশ্যে বলেছেন কেউ যেন এমন ভয়ঙ্কর অপরাধ না করে। তিনি এও অনুরোধ করেছেন যে যাঁরা তাকে নপুংসক হওয়ার আদেশ দিয়েছেন, তারা যেন এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে।

সরকারের দাবি এর ফলে শিশুদের উপর হামলা ১৭ শতাংশ কমেছে। যৌন নির্যাতনের ঘটনা কিছুটা হলেও কম করা গেছে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে। তবে কাজাকিস্তানের অনেক নাগরিকই এই আইনকে সমর্থন জানিয়েছেন।