বদলির চক্করে পরে একেবারে ১৩ মাস বেকার হয়ে গেলেন এক সরকারি স্কুলের ইংরাজী শিক্ষিকা। জানা গেছে, রায়গঞ্জ করোনেশন স্কুলের প্রধান শিক্ষকা। তিনি বদলির আবেদন করেছিলেন , কিন্তু এখন তিনি আদালতের কাঠগড়ায়। আর সেই কারণেই আদালতের তরফ থেকে তার বেতন বন্ধ করে দেওয়া হল অনির্দিষ্টকালের জন্য।
উত্তর দিনাজপুরের সংযুক্তা রায়ের আসল ঘটনা কি?
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে থেকে বেতন নেই সেই শিক্ষিকার। বদলির জন্য আবেদন করেছিলেন সেই শিক্ষিকা, আর যা শুনে অবাক কলকাতা হাইকোর্ট এর বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। হঠাৎ করে বদলি কেন? তার পেছনে স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
সমস্ত কিছুর ওপরে বিচার করেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেই শিক্ষিকার বেতন।তাই এবার সামনাসামনি কথা, আগামী ২১ মার্চ বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এর এজলাসে সশরীরে সেই শিক্ষিকাকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন: শাসক দলের অনেক পঞ্চায়েত সদস্য দিনরাত টা’কা তো’লে! অভিযোগ তোলেন দলীয় জেলা পরিষদের সভাধিপতি
২০২১ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি জয়েন করার তারিখে কেন জয়েন করেননি তিনি? এই কারণেই তার বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য। কি কারণের জন্য তিনি এই কাজ করেছেন? উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত তার বেতন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত ।
উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর ২ নং ব্লকের তুতিকাটা হরমা আদিবাসী জুনিয়র গার্লস স্কুলের ইংরেজি শিক্ষিকা ছিলেন সংযুক্তা রায়। এই স্কুল থেকে রায়গঞ্জ করোনেশনে বদলির আবেদন করেন তিনি।
সংযুক্তা রায়ের পুরোনো স্কুল টি এইচ হরমা আদিবাসী জুনিয়র গার্লস তাঁর বদলির আবেদন সবকিছু বিবেচনা করে ছেড়েও দেয়, কিন্তু এদিকে আবার সেই শিক্ষিকার আইনজীবী জানিয়েছে এক্ষেত্রে পর্ষদ সংযুক্তা রায়ের বদলি আবেদন মঞ্জুর করে দেয় ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
আরো পড়ুন: মুরগির মাংসে আগুন লে’গে’ছে, খাসির দাম ঊর্ধ্বমুখী! হোলিতে ছেঁ’কা খেলেন জনতারা