সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

জ্বালানি সং’ক’ট পাকিস্তান জু’ড়ে, টা’কা বাঁ’চা’তে বিদ্যুৎ ছাঁটাই দেশজুড়ে

ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে গোটা বিশ্ব দরবার। শ্রীলঙ্কা ইতিমধ্যেই আর্থিক দিক থেকে অনেক বেশী পিছিয়ে পড়েছে যার ফলে শ্রীলঙ্কায় দেখা দিচ্ছে অর্থনৈতিক সমস্যা। তবে এইবার শ্রীলংকার পরে সেই লাইনে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গেছে যে বিদেশ থেকে যে প্রাকৃতিক গ্যাস এবং কয়লা আমদানি করে সেটা এখন সম্ভব হচ্ছে না। কয়লা এবং প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি না করতে পারার জন্য এবার ঘাটতি হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে। এই বিপদের ফলে শিল্পাঞ্চল এবং গৃহস্থলীর থেকে বিদ্যুৎ ছাঁটাই করা হচ্ছে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে।

রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য গোটা বিশ্ব জুড়ে এখন কয়লার দাম এবং জ্বালানি গ্যাসের দাম বেড়েই চলেছে। এক বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পাকিস্তান খরচ করেছে প্রায় ১৫০০ কোটি মার্কিন ডলার। তবে এই মুহূর্তে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা একদমই তলিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন হয়ে নয়া প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন শেহবাজ শরীফ।

আরো পড়ুন: ৩০০ বছর ধরে মানবশুন্য, রাজস্থানের এই জায়গা আ’জ ভুতুড়ে গ্রাম না’মে পরিচিত

পাক অর্থমন্ত্রী মিফতা ইসমাইল টুইট করে জানান, ১৩ ই এপ্রিল পর্যন্ত ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি হয়েছে ৩ হাজার মেগাওয়াট। এই ঘাটতির জন্য সমস্যা হচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্র গুলিতে। এখন পাকিস্তানে নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর একটাই উদ্দেশ্য দেশের আর্থিক স্বচ্ছলতাকে আবার কিভাবে সঠিক করা যায়।

পাকিস্তানের হাতে নিজস্ব জ্বালানির কোন উৎস ইতিমধ্যেই নেই, সেইজন্য জ্বালানির ক্ষেত্রে পাকিস্তান সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল বিশ্ববাজারের উপর। কিছু মাস ধরে পাকিস্তানকে কিছু সরবরাহকারীরা প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানি করার জন্য বাতিল করে দিয়েছে।

অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছটি এলএনজি কার্গো যেটি আমদানির জন্য দরপত্র দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের তরফ থেকে। তবে এই অবস্থায় পাকিস্তানের প্রচুর লক্ষ ডলার খরচ হতে পারে। তবে বর্তমানে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থার যে হাল তাতে আদেও তারা কত দিনে এই আর্থিক ধাক্কাটিকে সামলে উঠতে পারবে সেটাই এখন প্রশ্ন।