ছেলে বৌমাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য মামলা করেছেন মা এবং বাবা। ছেলের প্রতি অভিযোগ করে জানিয়েছেন, এক বছরের মধ্যে যদি সন্তান জন্মগ্রহণ না করাতে পারে তাহলে ৫ কোটি টাকা তাদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হবে।
এই দাবি নিয়ে মামলা করেছেন উত্তরাখণ্ডের হরিদ্দারের এক দম্পতি। তারা জানিয়েছেন, তাদের ছেলেকে উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকাতে পাঠাতে হয়েছিল এবং যার জন্য তাদের শেষ সম্বল টুকুও শেষ হয়ে গেছে।
তাদের হাত একেবারেই খালি, সেই জন্যে ছেলে-বৌমার কাছে তাদের দাবি চেয়েছেন, নাতি-নাতনি তাদের দিতে অথবা তাদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে আড়াই কোটি টাকা করে দিতে।
আরো পড়ুন: আজব ঘ’ট’না, গো’টা পঞ্চায়েত ভবনই চুরি! অ’ভি’যো’গে’র তী’র প্রধানের দি’কে
এক সংবাদমাধ্যমের কাছে এই দম্পতি তাদের আর্থিক পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন। ওই মামলাকারীর নাম এস আর প্রসাদ। বুধবার দিন তিনি একটি সংবাদমাধ্যমে দাবি করে জানিয়েছেন, ছেলের উচ্চশিক্ষার জন্য তাদের সঞ্চয় শেষ হয়ে গেছে।
তার ছেলেকে আমেরিকায় পাঠাতে হয়েছিল ট্রেনিংয়ের জন্য, সেই জন্য প্রচুর টাকা খরচ করেছেন। তারা এমনকি বাড়ি তৈরি করার জন্য ঋণ নিয়েছেন, বর্তমানে তাদের আর্থিক দিক থেকে অবস্থা একবারে শোচনীয়।
Haridwar, Uttarakhand | Parents move court against son&daughter-in-law, demand grandchildren/Rs 5 cr compensation.
They were wedded in 2016 in hopes of having grandchildren. We didn't care about gender, just wanted a grandchild: SR Prasad, Father pic.twitter.com/mVhk024RG3
— ANI UP/Uttarakhand (@ANINewsUP) May 11, 2022
সেই জন্যেই ক্ষতিপূরণ হিসেবে ছেলে-বৌমার কাছে চাওয়া হয়েছে আড়াই কোটি টাকা করে। এমনকি এই দাবি নিয়েও মামলা করেছেন হরিদ্বারের এই দম্পতি।
আইনজীবী জানিয়েছেন, “এটাই বর্তমান সমাজের চিএ”। আইনজীবী শ্রীবাস্তবের দাবি, “একসময় বাবা- মা রা তাদের সমস্ত সম্পওি উজাড় করে তাদের সন্তানদের বড় করে তোলেন, তাই সন্তানরা যখন নিজের পায়ে দাড়াঁয়, তখন অবশ্যই উচিত বাবা-মার ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেওয়া”।
আরো পড়ুন: ক্যাটরিনার সুখ দে’খে নিজেকে সামলাতে পা’র’লে’ন না আলিয়া, ব’লে দিলেন অপ্রিয় কথা
ওই দম্পতির দাবি তারা আর্থিকভাবে তো কোনো রকমে তাদের ছেলে বৌমার কাছ থেকে সাহায্য পায়নি, তার উপর মানসিক শান্তিও তারা কখনো পাননি।
২০১৬ সালে তাদের একমাত্র সন্তানের বিয়ে দিয়েছিলেন কিন্তু বিয়ের পর অনেক ক বছর পেরিয়ে গেছে কোন নাতি-নাতনির মুখ দেখতে পাননি, তাই মামলাকারী দাবি জানিয়েছেন, যদি তারা নাতি নাতনির মুখ না দেখতে পান তাহলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হবে আড়াই কোটি টাকা করে।