সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

জলে’র অ’প’চ’য় রু’খ’তে স্বয়ং’ক্রিয় কোচ ওয়াশিং মে’শি’ন চালু’র সি’দ্ধা’ন্ত নি’লো পূর্ব রেল ক’র্তৃ’প’ক্ষ

জলের অপচয় রুখতে স্বয়ংক্রিয় কোচ ওয়াশিং মেশিন চালুর সিদ্ধান্ত নিলো পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ

জলের অপচয় রোধ করা প্রতিটি মানুষের কর্তব্য। তবে মানুষ জলের অপচয় সম্পর্কে এখনও তেমনভাবে সচেতন নন। পরিস্থিতি আজ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জলসংকট দেখা দিয়েছে। জলের অপচয় রোধে তাই এবার এক অভিনব পদক্ষেপ গ্রহণ করল পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। স্টেশন এবং ট্রেন পরিষ্কার রাখার জন্য যে জল ব্যবহৃত হয় তা যাতে কম খরচ করা সম্ভব হয় তার জন্য অভিনব এক পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।

তিন কোটি টাকা ব্যয় করে নদীয়াতে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় রানাঘাটে একটি অটোমেটেড বা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। পূর্ব রেলের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন লোকাল এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য রানাঘাটে তৈরি করা হয়েছে এই অটোমেটিক কোচ ওয়াশিং প্লান্ট। এতদিন ম্যানুয়ালি রেলের বিভিন্ন ঠিকাদারি সংস্থার কর্মীদের দিয়ে লোকাল এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেন পরিষ্কার করা হত। তবে এবার সেই প্রক্রিয়ায় বদল হচ্ছে।

স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ট্রেন পরিষ্কার রাখার এই পদ্ধতি শুরু হলে জলের অপচয় এক ধাক্কায় প্রায় ৮০ শতাংশ কমে যাবে বলে আশা করছেন তারা। একইসঙ্গে সময়ের অপচয় কমবে। আগে ট্রেন পরিষ্কার করতে ৩ ঘন্টা সময় লাগতো। কিন্তু এখন এই স্বয়ংক্রিয় প্লান্ট ব্যবহার করলে আধ ঘণ্টার মধ্যেই সম্পূর্ণ ট্রেন ধুয়ে ফেলা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে প্রতি বছরে রেলের কমকরে ৩১ লক্ষ টাকা সাশ্রয় হবে বলে দাবি করছেন পূর্ব রেল আধিকারিকদের।

আগে হাওড়া এবং আসানসোল ডিভিশনে এই অটোমেটিক কোচ ওয়াশিং প্লান্ট থাকলেও শিয়ালদহের মতো ব্যস্ত রেল ডিভিশনে এমন কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে আগামী সপ্তাহেই এই স্বয়ংক্রিয় কোচ ওয়াশিং মেশিন চালু হয়ে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকেরা।