সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

দেশের এই রাজ্যে দ্রৌপদীরা বস’বা’স করেন! পরিবারের একাধিক ভাইকেই বি’য়ে করেন তারা

আমরা সকলেই জানি মহাভারতে পঞ্চপান্ডবের একটাই স্ত্রী ছিল। নাম দ্রৌপদী। তাঁর সাথে বির যোদ্ধা অর্জুনের বিবাহ হলেও অর্জুনের মা না দেখেই বলে দেন যা এনেছ ৫ ভাইয়ের মধ্যে অর্থাৎ ভাগে ভাগ করে নাও। আর তাতেই হয়ে যায় সমস্যা। মার আদেশ পঞ্চপাণ্ডব না ফেলতে পারে সকলেই দ্রৌপদীকে বিবাহ করেন।

সেই থেকেই দ্রৌপদীর পাঁচ স্বামী এমন গল্পই আমরা মহাভারতে পেয়েছি। কিন্তু যদি শোনেন বাস্তবেও এমন দ্রৌপদীর মত মহিলারা রয়েছে যাদের একাধিক স্বামী অবাক হবেন তো? কিন্তু সত্যি এমনটা আছে। হিমাচল প্রদেশের মত একটা জায়গার কিন্নোর বলে একটি জায়গায় এই প্রথা আজও আছে।

জানা যায়, কিন্নৌরের বাসিন্দাদের বক্তব্য যে মহাভারতের যুগ থেকে এই প্রথা তাঁদের সমাজে চলে আসছে। বারো বছর বনবাসে থাকাকালীন হিমাচলপ্রদেশের কিন্নৌরে নাকি কিছুদিন কাটিয়েছিলেন পাণ্ডবরা। সেই থেকেই মহিলাদের মধ্যে এই বহুবিবাহের প্রচলন হয় তাঁদের মধ্যে।

আরো খবর: কোনো ব্যক্তির মৃ’ত্যু হলে বাড়িতে উনুন কেন ধ’রা’নো হয় না? কারণটা কি?

যখন কোনও মেয়ের বিয়ে হয়, তখন পাত্রীপক্ষ পরিবারের সব ভাইদের সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করে নেন। তারপর সেই সব ভাইকে বিয়ে করেন সেই মেয়েটি। এরকম একাধিক স্বামী নিয়ে জীবন যাপন করে আসছে এখনকার মহিলারা। বলা হয় এটি তাদের আদি সংস্কৃতি। এই প্রথা থাকার ফলে কিন্নরে কোনো জায়গা জায়গা নিয়ে মারপিট নেই।

কারন সকল ভাইয়ের তো একটাই বউ। তাই এরা একসাথে থাকতে জানে। এই প্রথার একটি বিশেষ নিয়ম রয়েছে। বলা হয়ে থাকে যে, যখন কোনও এক ভাই স্ত্রীর ঘরে ঢোকেন, তখন দরজার বাইরে নিজের টুপি খুলে রাখেন।

তার থেকে অন্য ভাইরা বুঝতে পারেন যে কোন ভাই তখন ভেতর আছেন। দরজার বাইরে কোনও একজনের টুপি খোলা থাকলে তখন অন্যরা আর ভেতরে ঢোকেন না। কেউ কেউ বলেন মহাভারতেরও আগে থেকে কিন্নৌরে এই প্রথা চলে আসছে।