সকালবেলা হতে না হতেই দিন শুরু হয় প্রত্যেকের মল ত্যাগ করে, তবুও এই বিষয়টিকে সকলেই ঘৃণা করেন, কিন্তু কেউই তাদের নিজের জীবনে এই ব্যাপারটিকে একেবারে অস্বীকার করতে পারবে না। সাধারণভাবে এই বিষয় নিয়ে কথা উঠলেই সবার হাসি কিংবা ঘৃণা করে, তবে এই বিষয়টিতে এবার বিজ্ঞানীরা দিয়েছেন নজর, হ্যাঁ সত্যিই শুনেছেন মলের উপরেই এবার বিজ্ঞানীরা দিচ্ছেন নজর।
এতদিন পর্যন্ত রক্ত এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ দান করার কথা শোনা গেছে, তবে এখন শোনা গেল মল দান করার কথাও এবং এই চাহিদা নাকি ক্রমশই বেড়ে চলেছে, কিন্তু কেন এই ধরনের চাহিদা হঠাৎ বেড়ে উঠলো? কেন মলের মতো বর্জ্য পদার্থের চাহিদা বাড়ল? ঘটনাটা হলো ভালো মানের মল এখন অন্ত্রের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে সেই, এই ধরনের ডোনারকে বলা হচ্ছে ইউকির্নও।
তবে এই ধরনের দাতা একপ্রকার বিড়ল দর্শন কিন্তু সম্প্রতি এই দাতাদের দেখা না মিললেও ক্রমশই তাদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে, এইরকম অবস্থায় চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন একটি দিক দেখতে পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের মতে মানুষের শরীরে যে মাইক্রোবায়োম অর্থাৎ যে সমস্ত আণুবীক্ষণিক জীবদের বসবাস করে, তারাই শরীরের সুস্থতায় পিছনে রয়েছে, এবং বর্তমান জীবনে যে সমস্ত ফাস্টফুড এবং অ্যান্টিবায়োটিক বেড়ে চলেছে তার ফলে মাইক্রোবাসদের ভীষণ ক্ষতি হচ্ছে
এই ব্যাপারে বিশেষ করে কাজে লাগছে উন্নত মানের মল, উন্নত মানের মলে যে সমস্ত ভালো ব্যাকটেরিয়া রয়েছে সেগুলি অন্ত্রকে শক্তিশালী করে তুলতে সক্ষম, এই জন্য এই ধরনের মল এর নামকরণ করা হয়েছে সুপার স্টুল। ইতিমধ্যেই এই রকম মল দাতাদের খুঁজে বের করছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেইড বায়োমব্যাংক।
এই স্থানে তৈরি করা হচ্ছে স্টুল ব্যাংক যেখানে মল দাতারা, তাদের মল দান করবেন, এবং সেই মল থেকেই বের করা হবে ভালো ব্যাকটেরিয়া, সেই সমস্ত ব্যাকটেরিয়াগুলোকে রাখা হয় একটি তরল জাতীয় পদার্থের মধ্যে, সেখানেই তাদের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়তে থাকে। এরপর এই সেই সমস্ত ভালো ব্যাকটেরিয়াকে দিয়ে চিহ্নিত করে ব্যবহার করা হয়।