করোনার কারণে বাধ্য হয়েই সমস্ত সেক্টরে ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালু হয়েছে। এই ব্যবস্থা চালু হওয়াতে সংশ্লিষ্ট সংস্থার খরচ অনেকটাই কমে গিয়েছে। আবার কর্মচারীরাও তাদের সুবিধা মত কাজ করতে পারছেন। তবে বাড়িতে বসে কাজ করার ক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্রে কর্মীরা ইন্টারনেট সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে নানা সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে তাদের খরচ কমে গিয়েছে।
ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ক্ষেত্রে অফিস যাতায়াতের খরচ কমেছে, অনেকেই নিজের বাড়িতে থেকে কাজ করতে পারছেন, বাড়ি ভাড়াও বেঁচে যাচ্ছে। তবে এই সুবিধা আর দীর্ঘস্থায়ী হবে না। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী যারা পাকাপাকিভাবে বাড়ি থেকে কাজ করতে চাইবেন এবার তাদের বেতনে কাটছাঁট করা হবে। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক এমনই একটি আভাস দিচ্ছে।
কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক এই সংক্রান্ত অনুমতি দিতে পারে নিয়োগকারীদের। হাউস রেন্ট অ্যালায়েন্স সেক্ষেত্রে কমিয়ে দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও এই সিস্টেমে যে কর্মীদের অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে তাদের জন্য এমব্রেসমেন্ট খরচের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হতে পারে। বিদ্যুৎ এবং ওয়াইফাই সংক্রান্ত একাধিক খরচ সামাল দেওয়ার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
যেসকল কর্মীরা মেট্রো শহর ছেড়ে ছোট শহরে গিয়ে বসবাস করছেন তাদের মোট বেতন কমানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে যে কর্মীরা পাকাপাকিভাবে বাড়িতে বসে কাজ করতে ইচ্ছুক হবেন তাদের ক্ষেত্রে মাসিক বেতনে পরিবর্তন আনা হতে পারে বলে কেন্দ্র শ্রমমন্ত্রকের তরফ থেকে আভাস মিলছে।