সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বিড়াল হ’ত্যা’র শা’স্তি পেলো কুকুর, ১১ বিচারক মি’লে নি’লে’ন ক’ঠো’র সিদ্ধান্ত

মানুষের জন্য আইন-আদালত বিচারব্যবস্থার রাস্তা খোলা থাকে। কিন্তু পশুপাখি বা জীবজন্তু জন্য সেই ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেই। একজন মানুষ যদি অপর একজন মানুষের কোনো ক্ষতি করেন বা তাকে হত্যা করেন তাহলে আদালত তাকে কঠোর শাস্তি প্রদান করে। তাহলে পশুপাখিরাও যদি একে অপরকে আক্রমণ করে, সেক্ষেত্রে তাদেরও কি শাস্তি হওয়া উচিত?

১৯২১ সালে এই ধরনের একটি অভিযোগ উঠেছিল ফ্রান্সের একটি আদালতে। ওই সময় আদালতে একটি কুকুরের বিরুদ্ধে অন্তত পক্ষে ১৪টি বিড়ালকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছিল। এরমধ্যে সানবীম নামের একটি পার্সিয়ান বিড়ালকে হত্যা করার দায়ে শেষমেষ আদালত অব্দি পৌঁছতে হয়েছিল ওই কুকুরটিকে। বিড়ালের যিনি মালিক ছিলেন তাঁর অভিযোগ ছিল ওই কুকুরটি তার চোখের সামনেই তার বিড়ালকে মেরে ফেলেছে।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সেই সময় ফ্রান্সের আদালতে আবার ১১ জন বিচারকের এজলাসও বসেছিল। অন্যান্য অপরাধীদের মতো খুনি ওই কুকুরটিকেও আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছিল। এমনকি শুনানির দিনেও আদালতে উপস্থিত ছিল সে। মামলা চলাকালীন বিচারকদের মধ্যে একজন ডর্মি নামের ওই কুকুরটিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন। কুকুরটিকে গ্যাস চেম্বারে পাঠিয়ে হত্যা করার রায় দিয়েছিলেন তিনি।

তবে অন্যান্য বিচারকের অবশ্য ওই বিচারকের এই রায়ের সঙ্গে সহমত ছিলেন না। দীর্ঘ বিচার চলার পর শেষমেষ বিচারকেরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে কোন মুক্ত প্রাণী যদি অপর একটি মুক্ত প্রাণীকে হত্যা করে তাহলে সেই দায়ভার কারোর উপর চাপানো যাবে না। বিচারকদের রায়ে শেষমেষ শাস্তির হাত থেকে রক্ষা পায় ডর্মি।