সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ঘুম থে’কে ওঠার পরেও কি নিজেকে ক্লা’ন্ত ম’নে হচ্ছে? শ’রী’রে কি বাসা করেছে নতুন রো’গ?

বর্তমানে প্রত্যেকটা মানুষই তাদের কর্মজীবনে ব্যস্ত। একটু শান্তি মতো বসে কিংবা ঘোরার মত সময় এখন মানুষের হাতে খুব কমই থাকে। চুপচাপ বসে থাকলেও মনের মধ্যে ভাবনা ঘুরতে থাকে নানান রকম। অনেক সময় শরীর ক্লান্ত হলে মনে হয় যে প্রচুর কাজের জন্য শরীর ক্লান্ত হয়ে গেছে, তাই জন্য একটু বিশ্রাম নিলে পরে শরীর আবার ঠিক হয়ে যাবে, কিন্তু এই রকম ভাবনা যে উল্টোও হতে পারে, তা কিন্তু আমাদের মাথায় আসে না।

মেয়েদের ক্ষেত্রে তো বটেই কিন্তু বর্তমানে ছেলেদের রক্তে কিন্তু আয়রনের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। রক্তে আয়রনের ঘাটতি হলে তখন ক্লান্তিভাব কিন্তু অনেকাংশেই বেড়ে যায়। রক্তে যদি আয়রনের অভাব থাকে তাহলে কিন্তু হতে পারে শরীর নানান রোগের শিকার। অনেক সময় সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর শরীরে ক্লান্ত বোধ হয়, চোখে ফ্যাকাশে ভাব থাকে এছাড়া যদি কোষে অক্সিজেনের ঘাটতি থাকে তাহলে কিন্তু হতে পারে অল্পতেই হাঁপানি রোগ, অথবা মাথা ধরার মতো সমস্যা ।

এই ধরনের সমস্যা গুলো যদি রোজ হতে থাকে তাহলে মনে করতে হবে যে এর পিছনে রয়েছে কোন অন্য কারণ। তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নিতে হবে এবং করাতে হবে হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা। কারণ এই পরীক্ষার মাধ্যমে ধরা পড়বে রক্তে আয়রনের ঘাটতির প্রমাণ। রক্তে যদি আয়রনের পরিমাণ বাড়াতে হয় তাহলে দরকার প্রচুর পরিমাণে আয়রন যুক্ত খাবার।

দু’ধরনের আয়রন খাবারে পাওয়া যায়, একটা হিম আয়রন, একটা নন হিম আয়রন। আয়রন পাওয়া যায় মাছ, মাংস, ডিমে। এই ধরনের আয়রন এর ক্ষেত্রে শরীর ৪০% শোষণ করে। আর নন হিম আয়রন পাওয়া যায় উদ্ভিজ্জ খাবার থেকে তবে সব আয়রন কিন্তু শরীর শোষণ করতে পারে না তাই এমন ধরনের আয়রনযুক্ত খাবার খেতে হবে যেগুলি খুব সহজেই শরীর শোষণ করতে পারে।

যেমন ধরুন ভাতের সঙ্গে যখন শাক ভাজা খাবেন তখন দু ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে যদি খান তাহলে সেটা অনেক পরিমাণে শরীরের পক্ষে ভালো। এছাড়াও খাওয়ার দরকার পালং শাক, ডাল, বাদাম, বেদানা, ব্রাউন রাইস, দানাশস্য জাতীয় খাবার, ভিটামিন এ এবং সি জাতীয় খাবার।

তবে অনেকেই নিজে নিজে ডাক্তারি করতে চান যেমন আয়রনের ঘাটতি দূর করার জন্য অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই খান আয়রন সাপ্লিমেন্ট কিন্তু এই ধরনের সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার ফলে পেট খারাপ অথবা পেট ব্যাথার মত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ,তাই এই ধরনের কাজ গুলো করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া প্রয়োজন।