সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

অ্যাপে টাকা রাখতেই উ’ধা’ও! বি’রা’ট প্র’তা’র’ণা চ’ক্রে’র হ’দি’শ পেলো পুলিশ

হেরা ফেরি ছবির অক্ষয় কুমারের সেই জনপ্রিয় ডায়লগ মনে আছে আপনাদের? ২৫ দিন ম্যা প্যায়সা ডাবল। এখানেও ঠিক একই। সামান্য টাকা আপনি যদি বিনিয়োগ করেন তাহলে খুব সহজেই সেই টাকা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। এক কথায় এটি একটি ডিজিটাল চিটফান্ড যেটা বর্তমান সময়ে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে অসাধু লোকজন মানুষ ঠকায়। সম্প্রতি এমনি একটি প্রতারণার হদিশ পেল পুলিশ। যেখানে কিনা ৯০৩ কোটি টাকার প্রতারণার খোজ পাওয়া গেছে।

দেশের বিভিন্ন জায়গায় নাকি এই প্রতারণার জাল ছড়িয়ে গিয়েছিল, যেটা পুলিশের কাছে খবর। দেশের বাইরেও তাইওয়ান মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে এই প্রতারণার জাল ছড়িয়ে গিয়েছিল। ইতিমধ্যেই মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে যার মধ্যে নাকি চিন ও তাইওয়ানের লোকও রয়েছে। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে এই চক্রটা কত বড় মাপের।

করোনা কালে যখন সবাই আর্থিক সঙ্কটে ভুগছিল ঠিক তখনি এই ধরনের ব্যবসা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছিল, এক কথায় লোক ঠকানোর ব্যবসা। সামনে একটি সুন্দর অ্যাপ কিন্তু তার পেছনেই চলত প্রতারণা। বিনিয়োগের টাকা ডবল হয়ে যাবে এই ফাদ পেতে বহু মানুষকে ফাদে ফেলেছে তারা। দেশের মানুষকে ঠকিয়ে তারা টাকা একটা সময় বিদেশে পাচার করে দিত বিভিন্ন আইনি ফাক ফোকোরের মাধ্যমে।

আরো পড়ুন: আপনার আধার কার্ডের বয়স কি ১০ বছরের বে’শি? কি করতে হ’বে জেনে নিন

তবে তাদের এই অসাধু ব্যবসা পুলিশের জালে শেষ পর্যন্ত ধরা পরেই গেছে, হায়দ্রাবাদের পুলিশ কমিশনার সিভি আনন্দ জানায়, লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতারিত হয়েছে বিশেষ করে দিল্লিতেই কোটি কোটি টাকার প্রতারণা করা হয়েছে, অনুমান করা হচ্ছে মোট প্রতারণার অঙ্ক হাজার কোটি পার হয়ে যাবে, আপাতত ৯০৩ কোটি টাকা প্রতারণা হয়েছে।

এই চক্রের মূল অভিযুক্ত চিনের বাসিন্দা লি জ়োনজুন ও তাইওয়ানের বাসিন্দা চু চু ইউ । তারা একটা সময় ভারতে এসেছিল তারপরে দেশে ফিরে গেলেও করোনা সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার পর থেকেই এই ফাদ পাতে তারা। এক ব্যাক্তি জুলাই মাসে অভিযোগ দায়ের করেন যে, তিনি সেই অ্যাপে ১.৬ লক্ষ টাকা রেখেছিল , কিন্তু কিছুদিন পরেই সেই টাকা উধাও হয়ে যায়।

পরে পুলিশ জানতে পারে শিন্ডাই টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেডের একাউন্টে সেই টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে। একেবারে যাকে বলে কেচো খুড়তে কেউটে বের হয়ে যাওয়ার জোগাড়। কারণ একের পর এক তথ্য সামনে উঠে আসছে যেটা অবাক করছে সকলকে। তবে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই তদন্তের ভার তুলে দেওয়া হবে ইডি ও কেন্দ্রীয় তদন্ত কারী সংস্থার কাছে।।