২০১৬ সালের ২৬ অক্টোবর দক্ষিণ ২৪ পরগনার রামনগর থানার শিমলা গ্রামের বাসিন্দা আসমুদা বেগম তার আড়াই বছরের ছেলেকে নিয়ে ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় ওই শিশুটি। টানা ৬ বছর পর তাকে খুঁজে বের করে ফেলল পুলিস।
ডায়মন্ড হারবার পুলিসের এক অভিযানে ওই শিশু উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার কুতুউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি। আসমুদা বেগমের দাবি, ওইদিন ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি।
তখন এক মহিলার কাছে ওই শিশুটিকে রেখে একটু অন্যদিকে যান তিনি। ফিরে এসে দেখেন ছেলে ও ওই মহিলা উধাও। শুরু হয়ে যায় খোঁজখবর। গোটা পরিবারের লোকজন এলাকা তন্নতন্ন করে খুঁজেও কোনও হদিস পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন: উৎসবের মরশুমে অনলাইনে কেনাকাটা করতে গি’য়ে ৪০ শতাংশ ভারতীয় প্র’তা’র’ণা’র শি’কা’র হয়েছেন
পরে ডায়মন্ডহারবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। ঘটনার পর থেকে ৬ বছর কেটে যাওয়ার পর ডায়মন্ডহারবার পুলিসের তত্পরতায় ওই শিশুটি উদ্ধার হল। পুলিস সূত্রে খবর, ওই নাবালকের পরিবার জানতে পারে হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়ার পর তাদের শিশুসন্তান একাধিক হাত ফেরত হয়ে চড়াদামে বিক্রি হয়েছে।
তাদের সন্তান হাওড়ার রয়েছে হাওড়ার সাঁকরাইলে। সোমবার রাতে এই খবর পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিসকে জানালে ডায়মন্ডহারবার পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালির নেতৃত্বে হাওড়ায় অভিযান চালায়।
চুরি হওয়া নাবালককে উদ্ধার করার পাশাপাশি শিশু পাচারচক্রের সাথে জড়িত কুতুবউদ্দিন নামের ১ ব্যক্তিকে আটক করে পুলিস।