সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

তিরুপতি মন্দিরে ভক্তরা দা’ন করে আসেন কয়েকশো টন চুল, কি করা হয় এই কেশরাশির?

গোটা ভারতের জনপ্রিয় মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম তিরুপতি মন্দির। এই মন্দিরে অনেক ভক্তরাই মনস্কামনা পূর্ণ হওয়ার পর টাকা কিংবা সোনা গয়না নয় চুল দান করে আসেন। যে যত চুল দিতে পারেন সে তত সম্পত্তির মালিক হতে পারেন। আসলে এখানে চুল দিলে নাকি সন্তুষ্ট হন মা লক্ষ্মী। মহিলা পুরুষ নির্বিশেষে এখানে ইচ্ছা পূরণ হলে চুল দান করেন। আবার এই চুল দান করা নিয়ে আরও একটি গল্প প্রচলিত আছে।

অতীতে বালাজির মূর্তির উপর পিঁপড়ের পাহাড় তৈরি হয়েছিল একটি গরু প্রতিদিন ওই পিঁপড়ের পাহাড়ে দুধ দিত। তা দেখতে পেয়ে গরুর মালিক একদিন ভীষণ রেগে গিয়ে একটি কোদাল দিয়ে গরুর মাথায় আঘাত করেন। সেই আঘাত খেয়ে পড়ে বালাজির মাথায়। বালাজির মাথা থেকে চুল ঝরে পড়ে।

তা দেখে নীলা দেবী নিজের চুল কেটে বালাজির মূর্তির মাথায় জড়িয়ে দেন। দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন মন্দিরের রয়েছে এই নিলা দেবীর মূর্তি।  নীলাদেবীর এমন স্বার্থত্যাগ দেখে অত্যন্ত খুশি হন ভগবান বিষ্ণু।তিনি তাকে আশীর্বাদ করেন এই মন্দিরে চুল দান করলেই সমস্ত মানুষ কামনা হবে পূর্ণ।

আরো খবর: খুশির খবর, দা’ম ক’ম’ছে মোবাইল ফোনের

কেটে ফেলা চুল প্রথমে গরম করে জলের ফোটানো হয় তারপর তার সাবান দিয়ে ধুয়ে শুকানো হয় এরপর একটি গুদামে সেই চুল ভরে রাখা হয়। গুদামের তাপমাত্রা একটি নির্দিষ্ট মাপে রাখা হয়। বিভিন্নভাবে এখানে চুল সংরক্ষণ করা হয়। প্রথমে ২৭ ইঞ্চি তারপর ১৯ থেকে ২৪ ইঞ্চি তারপর ১০ থেকে ১৮ ইঞ্চি লম্বা চুল রাখা হয়।

প্রথমভাগের চুল কেজি প্রতি চার হাজার টাকা দ্বিতীয় ভাগের কেজি প্রতি ২৬০০ টাকা ৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় তৃতীয় ভাগে। সেই চুল আবার অনলাইনেও নিলাম করা হয়। কোটি কোটি টাকা আয় করে ওই মন্দির কর্তৃপক্ষ। বিক্রি করা হয় চীন আমেরিকায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে।

এই মন্দিরের চুল কামানোর জন্য ৬০০ জন পুরোহিত নিযুক্ত রয়েছেন। প্রতিদিন কুড়ি হাজার ভক্ত এখানে এসে চুল দান করেন। প্রত্যেক ভক্তর মাথা কামানোর জন্য নাপিতেরা এগারো টাকা করে পান।

মাস গেলে তাদের রোজগার দশ হাজার টাকার কিছু বেশি হয়ে থাকে।। অথচ নাপিতরা অভিযোগ করেন সেই টাকা নিয়ে নয় মন্দির কর্তৃপক্ষ। ২০২১ সালের একটি পরিসংখ্যান বলছে মন্দির কর্তৃপক্ষ ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৯০০ কেজি চুল বিক্রি করে ১১ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা পেয়েছে।