আবার কি সেই সব দিন ফিরে আসছে? ভাবলেই তো গা সিউড়ে ওঠে। কারণ অতীতের কথা মনে করলে খুবই ব্যাথা লাগে মনে। আমফানের দাপটে কার্যত সমস্ত কিছু তছনছ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা আশা করি মনে আছে সবার।
সেই ভয়ার্ত পরিণতি কি ফের হতে চলেছে? কারণ এবার নাম বদল করে সে যেন ফের আসছে। ফের একবার কি দীঘার সমুদ্র সৈকতে সে ফিরে আসবে? আবার কি সে আঁচড়ে পরবে সেখানে? এই নিয়ে দারুণ চিন্তায় আবহাওয়া বিদেরা।
আমফানের কারণে একটা সময় মানুষের যা ক্ষতি হয়েছিল তা বলার মতো না। যদি সাধারণ মানুষ সেই ধাক্কা আবার খায় তাহলে তো আর তাঁদের মনোবল একেবারেই ভেঙ্গে যাবে।
আরো পড়ুন: অশনি ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যেই মন্দারমণিতে ত’লি’য়ে গে’ল দুই যুবক-যুবতী
তিলে তিলে তৈরী করা তাঁদের সমস্ত কিছু আবার কি আগের মতোই সব ভেসে যাবে? ইতিমধ্যেই আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, উপকূলের অঞ্চল গুলোতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, তাঁর সাথে ঝোড়ো হাওয়া যেন একেবারেই বিনামূল্যে।
আজ সোমবার থেকেই তুমুল ঝড় বৃষ্টি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে উপকূলের জেলাগুলোতে এর দাপট থাকবে সর্বদা ওপরে। ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে এই ঘূর্ণিঝড় যার গতিপথ নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে আবহাওয়া বিদদের।
এমনিতেই সপ্তাহের শেষে দীঘার পর্যটকদের দারুণ একটা চাপ থাকে। ইতিমধ্যেই সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। কেউ যেন সমুদ্রে নামার তো দূরের কথা কাছে যেতেও বারণ করা হয়েছে। কড়াকড়ি করা না হলেও স্বাভাবিক সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন: নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জা’রি করলো ISRO, কা’রা কা’রা আবেদন করতে পারবেন জেনে নিন
ইতিমধ্যেই ঘূর্ণাবাতের কারণের কথা মাথায় রেখেই উচ্চপর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক করা হবে, যেখানে দিঘার হোটেল মালিক কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। রবিবার সন্ধ্যায় নিন্মচাপ ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে, এমনটাই আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল।
যেটা মঙ্গলবার ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে গিয়ে পৌছোবে। যার কারণেই আগামীকাল মঙ্গলবার গাঙ্গেয় উপকূলের জেলাগুলোতে ঘূর্ণিঝড়ের বিস্তর একটা প্রভাব পরবে। তবে আরও কিছুর সম্মুখীন হতে হবে কিনা সেটা এখনও জানা যায় নি।