সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

অ’গা’ধ ভালোবাসা, মন্দির বা’নি’য়ে প্র’য়া’ত স্বামীর উ’পা’স’না করছেন স্ত্রী

স্বামী ধর্ম, স্বামী কর্ম, স্বামীর পুণ্য লাভে স্ত্রীর পুণ্য, বড্ড সেকেলে কথা হয়ে গেল না। এই সমস্ত চিন্তা ধারা বর্তমান সমাজে একেবারে অগ্রাহ্য। কিন্তু ভারতবর্ষের যদি একটু খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে এমন নারীর সন্ধান আপনি অনায়াসে খুঁজে পাবেন। স্বামীকে দেবতা হিসেবে গ্রহণ করতে দেখা গেল অন্ধ্রপ্রদেশের এক মহিলাকে। পদ্মাবতী নামক ওই মহিলা প্রয়াত স্বামীর জন্য আস্ত একটি মন্দির তৈরি করে ফেললেন। মন্দিরে স্বামীর মূর্তি স্থাপন করে তাকে প্রত্যেকদিন পূজা-অর্চনা করেন।

ঘটনাটি অন্ধ্রপ্রদেশের প্রকাশকম জেলার। এই জেলায় পদ্মাবতীর বাড়ি। স্বামী গুরুকুলা আঙ্কিরেড্ডিকে নিয়ে সুখে ঘর করতেন তিনি। কিন্তু ২০১৭ সালে আচমকা এক দুর্ঘটনার সবকিছু ছিনিয়ে নেয় তার জীবন থেকে। পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় পদ্মাবতীর স্বামীর। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েছিলেন পদ্মাবতী। কিন্তু হঠাৎ করে একদিন স্বপ্নে তিনি তার স্বামীকে দেখতে পান। নিজের জন্য মন্দির করতে বলেন আঙ্কিরেড্ডি।

স্বপ্নাদেশে স্বামীর এই নির্দেশ পাওয়া মাত্রই বিন্দুমাত্র দেরি করেন না তিনি। বাড়িতেই স্বামীর জন্য মন্দির তৈরি করে ফেলেন পদ্মাবতী। সেখানে স্বামীর পাথরের মূর্তি রেখে নিয়মিত ধুপ ধুনো দিয়ে পুজো আলোচনা করেন তিনি। শনিবার রবিবার এবং পূর্ণিমার দিন বিশেষভাবে পুজোর আয়োজন করা হয়। ঐদিন গুলোকে গরিব মানুষদের বিনামূল্যে আহার প্রদান করা হয়। এই সমস্ত কাজের দ্বারা স্বামীর আত্মা শান্তি পাবে বলে ধারণা পদ্মাবতীর।

এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পদ্মাবতী জানিয়েছেন, নিজের মাকে সারাজীবন স্বামীর সেবা করতে দেখেছেন তিনি। স্বামী যতদিন বেঁচে ছিলেন, এতদিন তিনি নিজেও স্বামীর সেবা করে গেছেন। দুর্ভাগ্য তাকে তার স্বামীর থেকে আলাদা করে দিয়েছে। কিন্তু স্বামীর প্রতি পদ্মাবতীর ভালোবাসা একটুও কমেনি, তা বহুবার প্রমাণিত হয়ে গেছে। যতদিন তিনি বেঁচে থাকবেন ততদিন স্বামীকে দেবতার আসনে বসিয়ে পুজো আর্চনা করে যাবেন। প্রসঙ্গত, পদ্মাবতীকে এই কাজে সাহায্য করেন তার ছেলে শিব শংকর রেড্ডি, তিরুপতি রেড্ডি। পাড়া-প্রতিবেশী এবং আত্মীয়-স্বজনরাও পদ্মাবতীর এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেন এবং সাহায্য করেন।