উত্তরপ্রদেশের লক্ষিমপুরে খেরির অন্তর্গত মুন্না পুরওয়া গ্রামের বাসিন্দা রামদীনের বাড়িতে কুমির নিয়ে এক আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটছে দেখতে পাওয়া গেল। জানা যায় যে রামদীন রাত একটা নাগাদ জলবিয়োগ এর জন্য উঠেছিল। ঘর থেকে উঠোনের দিকে নামতেই তার মনে হলো যে কি একটা যেন বড়ো সড়ো ভাবে নড়াচড়া করছে।
তিনি উঠোনে পা না দিয়েই এই ভেতর থেকে টর্চ এনে আলো জ্বেলে দেখলো এক প্রকাণ্ড কুমির সেখানে নড়াচড়া করছে। রামদীনের ডাকাডাকিতে একে একে বাড়ির সবাই এসে জড়ো হলো সেখানে এবং দেখলো এক বড়ো আকারের কুমির সেখানে রয়েছে। সবাই মিলে তাকে তাড়ানোর চেষ্টা করলেও তারে কোন কাজ হলো না। রামদীনরা আর তাদের বাড়িতে থাকার ঝুঁকি নেয় নি।
তারা বেড়া টপকে পাশের সদস্যদের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন এবং সবাই খবর পেয়ে কে কে গ্রামবাসীরা রামদীনের বাড়িতে এসে উপস্থিত হয় এবং বনদপ্তর কে খবর দেওয়া হয়। এরপর ভোর পাঁচটা নাগাদ বন দফতর থেকে লোকেরা এক ঘণ্টা ধরে টানা হেঁচড়া করার পর সেই কুমিরটিকে বন্দী করতে সক্ষম হন। বন দফতর ও গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে যে নিকটবর্তী নদী থাকাকালীন সেখান থেকে কুমির এসে প্রায়ই গ্রামে হানা দেয়। ঠিক এবারে যেমনটা হয়েছে রামদীন ও তার পরিবারের সঙ্গে।