২০১৮ সালে দেশের দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য একটি অভিনব প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এই প্রকল্পের আওতায় পাকিস্তানের গরীব মহিলাদের ডিম এবং মুরগী দেয় পাক সরকার। যাতে তারা এর মাধ্যমে ব্যবসা করে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন। তবে পাকিস্তান সরকারের সেই পরিকল্পনা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। ইমরান খানের ‘পোল্ট্রি ফার্মিং’ স্কিম হয়েছে সুপার ফ্লপ।
সরকারের পক্ষ থেকে যে ডিম এবং মুরগি গরীব মহিলাদের দেওয়া হয়েছিল সেগুলি তারা নিজেরাই খেয়ে ফেলেছেন। বিশিষ্ট সূত্রে খবর, সরকারের তরফ থেকে গরিব মানুষদের যে ডিম এবং মুরগি দেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে থেকে ৩ শতাংশ মুরগী মারা গিয়েছে এবং জীবিত মুরগীর মধ্যে ১০ শতাংশ ডিমই দেয়নি। বাকি ৯০ শতাংশ মানুষ ডিম বাজারজাত না করে, নিজেরাই খেয়ে নিয়েছেন!
যদিও এর মধ্যে আবার ৮০ শতাংশ মানুষ চাইছেন সরকারের এই প্রকল্প চালু থাকুক। এই বছর পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে ‘মুরগী পালন’ প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ২০২১ সালের মধ্যে ৫০০০০০ মুরগী বিতরণ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতবছর ৫০০০০ পরিবারের মধ্যে ৩২৪০০০ মুরগী বিতরণ করা হয়েছিল পাক সরকারের তরফ থেকে।
পাকিস্তানের মানুষের দারিদ্রতা কমানোর জন্য এই প্রকল্প গ্রহণ করেছিল সরকার। ইমরান খান ভেবেছিলেন এই প্রকল্পে ব্যাপক লাভ হবে সাধারণের। তবে বেশিরভাগ মানুষ ডিম এবং মুরগির ব্যবসা ব্যবসা করতে আগ্রহী নয়। তার থেকে বরং সেই ডিম এবং মুরগি তারা নিজেরাই খেয়ে নিয়েছেন।
