সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বিশ্বজুড়ে আবহাওয়া পরিবর্তন, পৃথিবী থেকে নি’র্মূ’ল হ’বে কফি!

আবহাওয়ার বদলে প্রভাব পড়বে কপি চাষে, গবেষণাপত্রে তেমনই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে কফি চাষ বড় সংকটে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা, যে কফি আমার আপনার জীবনের যাবতীয় ক্লান্তি দূর করে দেয় এক চুকটিতেই, সেই কফিই যখন সাধ্যের মধ্যে থাকবে না তখন কি অবস্থা হবে? সেটা ভেবেই মানুষ সিউড়ে উঠছে।

বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশই বাড়ছে, যার ফলে তার প্রভাব পড়তে পারে চাষবাসের উপরেও, নতুন একটি গবেষণা তেমন কথাই বলছে। যেখানে অ্যাভোকাডো কাজুবাদাম এমনকি কফি চাষের ওপর বিরাট প্রভাব পড়বে বলে দাবি করছেন তাঁরা। পি এল ও এস ওয়ানে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে ভবিষ্যতে কফি চাষের অনুকূল জায়গাও কমতে শুরু করবে। কারণ মাটির সঙ্গে দরকারি অনুকূল আবহাওয়াও, আর আবহাওয়া বদলের ফলে কমতে শুরু করবে কফি চাষের অনুকূল অঞ্চলও।

এমনকি পরিবর্তন হবে সব অঞ্চলের মাটির বৈশিষ্ট্যও, ২০৫০ সালের মধ্যে কফি উৎপাদনকারী দেশগুলি যেমন ব্রাজিল ইন্দোনেশিয়া ভিয়েতনাম কলম্বিয়া প্রভৃতি দেশে ৫০% ফলন কমার আশঙ্কা। ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল রিসোর্সের গবেষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান গবেষণা পত্রে দূষণের তিনটি মডেল নিয়েও বিশ্লেষণ করা হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে আবহাওয়ার বদলে শস্য উৎপাদনে কি প্রভাব পড়তে চলেছে, এমনকি গবেষকরা সর্বনিম্ন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ও বার্ষিক তাপমাত্রার ওঠানামা নিয়েও গবেষণা চালাচ্ছেন।

তারা বলছেন যে, অত্যধিক তাপমাত্রায় অ্যাভাকাডো ফলন হলেও উচ্চ তাপমাত্রা কখনোই কফি চাষের জন্য অনুকূল নয়, তেমনি আবার ঠান্ডা আবহাওয়াতেও অ্যাভোকাডো চাষ তেমন হয় না, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন কাজুবাদাম, অভোক্যাডো ফলন বাড়তেও পারে তবে সেটা বর্তমান উৎপাদিত অঞ্চলে নাও হতে পারে। সব মিলিয়ে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছি আমরা। কারণ বিশ্ব উষ্ণায়ন এখন আমাদের জীবনের সবথেকে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ সেটি কীভাবে পরে আমাদের জীবন যাত্রাকে আমূল পরিবর্তন করে রাখতে চলেছে তা বোঝা মুশকিল হয়ে পড়ছে।