যদি বর্তমান সময়ে একটু নজর দেওয়া যায়, তাহলে দেখা যাবে ভারত সরকার ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। এমন কিছু করা পদক্ষেপ যা কিনা বিশ্বজোড়া মানুষকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই কিছু পদক্ষেপ দারুণভাবে প্রশংসা পাচ্ছে এবং কিছু পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্নের সৃষ্টি করছে। কিন্তু তা প্রশ্ন যতই উঠুক না কেন, ভারত কিন্তু তার নয়া পদক্ষেপে একদম অবিচল। ইতিমধ্যেই চীনের সাথে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই, চীন বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে ভারতের ওপর নিজেদের অধিকার ফলাচ্ছে। কিন্তু তাই বলে ভারত কিন্তু একেবারেই চুপ করে নেই, ইতিমধ্যেই ভারত চীনের বিভিন্ন কোম্পানির ওপর কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আর্থিক তারপরেই এই বিষয় নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা, তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা হওয়ারই ছিল।
সম্প্রতি দেশের আয়কর বিভাগ এবং জিএসটি বিভাগ এর তরফ থেকে কয়েকটি তদন্ত করা হয়েছে, আর সেই তদন্তের দ্বারাই প্রকাশ হয়েছে , দেশের মধ্যে যে কয়েকটি চীনা মোবাইল সংস্থা রয়েছে , তারা তাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করা নিয়ে বিশাল কারচুপি করে চলেছে। সেই কারচুপির মধ্যে অন্যতম হল, তারা বিভিন্ন পন্থায় টেক্স বাঁচিয়ে সেই টাকা দেশে পাচার করে দিচ্ছে। কারণ একটাই, যাতে তারা কম সময়ে অনেকটা বেশি লাভবান হয়ে ওঠে ও সময়ের সাথে সাথে অন্যান্য দেশেও নিজেদের সংস্থার বিস্তার বাড়াতে পারে।
তবে ভারত সরকার ঠিক এর পরেই , সেই চীনা সংস্থা গুলির উপর করা একশন নিয়েছে। তৎক্ষণাৎ ১ হাজার কোটি টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে সংস্থা গুলির উপর, আর এই টাকা মেটাতে তাদের কালঘাম ছুটে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। এই ধরনের কারচুপি ধরার কারণেই তাদের এই জরিমানা, কিন্তু গোয়েন্দা বাহিনী সেই কারণে দারুন প্রশংসার স্বীকার হচ্ছে। তবে মনে করা হচ্ছে,চীনের বিভিন্ন সংস্থা গুলি ওপর ও আইটি সংস্থাগুলির ওপর আগামী দিনেও যে ভারত কড়া পদক্ষেপ নেবে। স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে দ্বারা জানা যাচ্ছে চীন এই বিষয় নিয়ে অনেকটাই ক্ষুব্ধ। তবে ভারতও যে একেবারে চুপ করে বসে থাকার পাত্র নয় সেটা এই মুহূর্তে প্রমাণ পেয়েছে তারা।
