সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

যাকে বলে নরক য’ন্ত্র’না, অরুনাচলের যুবকের উপর ২০৯ ঘন্টা অ’ক’থ্য অ’ত্যা’চা’র করেছে চীনা সেনা

টানা ২০৯ ঘন্টা অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে অরুণাচল প্রদেশের অপহৃত এক তরুণকে। জানা যায়, চিনা সেনার অকথ্য অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে তাকে টানা ২০৯ ঘন্টা। অপহৃত যুবককে ইলেকট্রিক শক থেকে শুরু করে চোখ বেঁধে মারধর এমনকি লাথি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে, চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মির তরফ থেকে এমনটাই জানা যায়। এই ঘটনা জানার পরেই সংবাদমাধ্যম গিয়ে পৌঁছায় সেই তরুণের বাড়িতে। সেখানে তার বাবার সাথে কথা বলে সাংবাদিকেরা। সেখানেই তার বাবা এইসব ঘটনা সম্পর্কে জানায়। তিনি বলেন, চীনা সেনারা তার ছেলের ওপর অকথ্য অত্যাচার করেছে যার কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে সেই যুবক। এখনো সেই ভয়ঙ্কর দিনগুলির কথা ভুলতে পারে না সে।

সেই যুবকের বাবা আরও জানিয়েছেন, তার ছেলে যখন বাড়িতে ফিরে আসে তখন সে জানায়। তাকে নোম্যান্সল্যান্ড এর থেকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল চীনা সেনারা। ভুল করেই সে সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল, আর সেখান থেকেই তাকে হাত পা চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চিনা সেনাদের ডেরায়। যতক্ষণ সে সেখানে ছিল বন্দি অবস্থায়, কতক্ষণ তার চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল। খাবার খাওয়ার সময় এমনকি প্রাকৃতিক ডাকেও তার চোখ বাঁধা থাকতো, শুধু খুলে দেওয়া হতো তার হাত দুটো।

যখন তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় তার কয়েক মিনিট আগেই তার চোখ খুলে দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়। বন্দি দশায় ছেলের ওপরে অনেক অত্যাচার, মারধর, কারেন্টের শক, এমনকি ধারালো অস্ত্র দিয়ে খোচাও দেওয়া হ এজিদ পেটে। তবে বন্দি থাকা কালীন তাকে ভালো খাবার দেওয়া হয়েছিল দৈনিক। প্রতিদিন মাংস খেতে দেওয়া হয়েছিল তাকে।গাড়ি করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কিবিথুতে,সেখান থেকেই ছেড়ে দেওয়ার আগে কোয়ারেন্টিন পর্যন্ত করা হয়েছিল ৩ দিনের জন্য।