সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এই শহরের অধিবাসীদের সকলেই আ’ছে ব্য’ক্তি’গ’ত বিমান, যাতায়াত করেন আকাশপথেই

বর্তমানে ট্রাফিক জ্যামের রাস্তায় অনেকেরই হয়তো মনে হয় যদি পার্সোনাল হেলিকপ্টার, প্লেন অথবা জেট থাকতো তাহলে কতই না ভালো হতো! ভাবুন তো, যদি সকলের কাছেই একটা করে আকাশযান থাকতো তাহলে রাস্তায় জ্যাম হতোই না। অবশ্য এয়ার জ্যাম হলে সেটা অবশ্য আলাদা ব্যাপার। তবে জানেন কি এই পৃথিবীতে এমন একটি শহর রয়েছে যেখানকার প্রতিটি মানুষের নিজস্ব প্লেন রয়েছে?

Hampir Seluruh Penghuni Perumahan Sultan Ini Miliki Pesawat Pribadi, Begini  Penampakannya - Tribunpalu.com

আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার ক্যামেরণ শহরের বাসিন্দাদের কাছে রয়েছে নিজস্ব প্লেন। এখানকার বাসিন্দারা অফিসে যান প্লেনে চড়ে। এমনকি সপ্তাহান্তের ছুটির দিনে প্লেন নিয়েই তারা বেরিয়ে পড়েন দূর-দূরান্তে! সরকারি নথিতে এই শহরটিকে ফ্লাই ইন রেসিডেন্সিয়াল কমিউনিটি হিসেবে চিহ্নিত করা আছে। প্রধানত বিমানপোতেই গড়ে ওঠে এমন কমিউনিটি।

Cameron Airpark In California, A Town Where Everyone Has Airplanes

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকার বহু বিমানপোত অকেজো হয়ে পড়েছিল। একই সঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত বিমানচালকের সংখ্যাও তখন বেড়ে যাচ্ছিল। ১৯৩৯ সালে সংখ্যাটা ছিল ৩৪ হাজারের কাছাকাছি। ১৯৪৬ এ সেই সংখ্যাটা বেড়ে চার লক্ষে পৌঁছায়। আমেরিকার অসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ এরপর অকেজো বিমানপোতগুলিতেই অবসরপ্রাপ্ত বিমানচালকদের থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

পুরনো আমলের ঐতিহ্যবাহী গাড়ির প্রদর্শনীর প্রচলন আছে বিশ্বের বহু শহরে। ক্যামেরন পার্কে গাড়ির পাশাপাশি প্লেনেরও প্রদর্শনী হয়। বছরে এক দিন রানওয়ে বরাবর সার দিয়ে দাঁড়ায় বিভিন্ন মডেলের বিমান। রানওয়ে ধরে একসঙ্গে সেই সব বিমানের উড়ান নেওয়ার দৃশ্যও দেখার মতো।

সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে ১৯৬৩ সালে গড়ে তোলা হয় ক্যামেরণ পার্ক এয়ারপার্ক। আগেই জায়গার নাম ছিল ক্যামেরণ পার্ক এয়ারপোর্ট। এই শহরের প্রত্যেক পরিবারের কোনো না কোনো সদস্য একসময় বিমানচালক ছিলেন। সারা বিশ্বে এমন কমিউনিটির সংখ্যা প্রায় ৬৪০টি। যার মধ্যে শুধু আমেরিকাতেই রয়েছে ৬১০টি কমিউনিটি।